রেললাইনের উপর এক শিক্ষকের খন্ড বিখণ্ড দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। মৃত শিক্ষকের নাম সুব্রত অধিকারী। তিনি বিহারের সাফারি ইন্টারন্যাশনাল হাই স্কুলের সংগীত বিভাগের শিক্ষক। তিনি পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদল থানার অমৃতবেরিয়া গ্রামের বাসিন্দা। পুলিশ প্রাথমিকভাবে মনে করছে মাল গাড়ির ধাক্কায় কাটা পড়ে মৃত্যু হয়েছে ওই শিক্ষকের। পাঁশকুড়া-হলদিয়া রেল লাইনের উপর তার মৃতদেহ উদ্ধার হয়। তবে এর পিছনে অন্য কারণ রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছ, বছর ৩২ এর সুব্রত অধিকারী কলকাতার রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের মিউজিক বিভাগের মেধাবী ছাত্র ছিলেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মিউজিক নিয়ে মাস্টার ডিগ্রী পাস করেছিলেন। এরপর তিনি বিহারের ওই হাইস্কুলে চাকরি পেয়েছিলেন। তার বাবা রঘুনন্দন অধিকারী তমলুকের রিজিওনাল স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার অস্থায়ী চতুর্থ শ্রেণীর কর্মী। সুব্রত অধিকারী অবিবাহিত ছিলেন। স্কুলে কোনও রকম সমস্যা ছিল না বলেই জানিয়েছেন তারা বাবা। শিক্ষকের বাবা জানান, তার ছেলে বাড়িতেই থাকতে চাইছিলেন। স্কুলে কোনও রকমের সমস্যা হয়নি। সে কথা স্কুলে ফোন করে তিনি জানতে পেরেছিলেন। তবে গত ক'দিন ধরে তার আচার-আচরণ মোটেই স্বাভাবিক ছিল না। এর জন্য চিকিৎসকের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সুব্রত। কিন্তু, তাতে খুব বেশি লাভ হয়নি। পরিবারের দাবি বেশ কয়েকদিন ধরেই এলোমেলোভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন ওই শিক্ষক।
আজ ভোর রাতে তার মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে রেল পুলিশ সেখানে পৌঁছায়। ওই যুবকের মানিব্যাগ থেকে ভোটার কার্ড উদ্ধার হয়েছে। তা দেখে তার পরিচয় জানতে পারে পুলিশ। পরে ভিলেজ পুলিশের সাহায্য সুব্রতর পরিবারের লোকেদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। ঘটনাটি খতিয়ে দেখছে হলদিয়া রেলওয়ে জিআরপি। মৃত শিক্ষকের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এটি নিছক দুর্ঘটনা নাকি এর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।