বেহালার পর লিলুয়া। ফের অনলাইন ক্লাস চলাকালীন পড়ুয়াকে খুনের অভিযোগ। লিলুয়ায় স্বামী - স্ত্রী ও মেয়ের দেহ উদ্ধারে গোয়েন্দাদের অনুমান, অনলাইন ক্লাস চলাকালীনই ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী সম্রাজ্ঞী দাসকে খুন করেছেন বাবা অভিজিৎ। অগাস্টে বেহালার পর্ণশ্রীতে একই ভাবে অলাইন ক্লাস চলাকালীন মামার হাতে খুন হয়েছিল অষ্টম শ্রেণির এক পড়ুয়া।
গত শনিবার হাওড়ার লিলুয়া থানা এলাকার বেলগাছিয়া থেকে উদ্ধার হয় স্বামী, স্ত্রী ও মেয়ের দেহ। দোতলার ঘরে মেঝেয় পড়েছিল মা দেবযানী দাস ও মেয়ে সম্রাজ্ঞী। ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় গৃহকর্তা অভিজিতের দেহ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান ছিল স্ত্রী ও মেয়েকে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছেন অভিজিৎবাবু। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে প্রতিষ্ঠিত হয় সেই তত্ত্ব। জানা যায়, স্ত্রী ও কন্যাকে মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে খুন করেন অভিজিৎবাবু। তার পর আত্মঘাতী হন নিজে। শুধু তাই নয়, ১৩ বছরের সম্রাজ্ঞীর পরনে ছিল স্কুলের ইউনিফর্ম। যা থেকে গোয়েন্দাদের অনুমান, সম্ভবত অনলাইন ক্লাস করছিল সে।
তদন্তকারীদের অনুমান, আর্থিক সমস্যার জেরেই এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন অভিজিৎবাবু। পেশায় গ্যাস সিলিন্ডারের ব্যবসায়ী অভিজিৎবাবুর বাজারে বেশ কিছু ধার হয়ে গিয়েছিল। সেই ধার শোধ করতে স্ত্রীর গয়না বন্ধক রেখেছিলেন তিনি। কিন্তু ধার শোধ করতে না পারায় বন্ধক রাখা গয়না নিলামের দিনক্ষণ জানিয়ে দিয়েছিল ঋণ প্রদানকারী সংস্থা। এই নিয়ে তুমুল অশান্তি চলছিল স্বামী স্ত্রীর মধ্যে। সঙ্গে মেয়ের স্কুলের খরচ টেনে উঠতে পারছিলেন না অভিজিৎবাবু।