একেবারে সরাসরি নিশানা। নিশানায় তৃণমূলেরই প্রাক্তন বিধায়ক স্বপন বাউরি। শালতোড়া বিধানসভার বিভিন্ন এলাকায় তাঁর নামে পোস্টার পড়েছে। কারা দিয়েছে এই পোস্টার সেটাও নির্দিষ্ট করা হয়েছে। পোস্টারের নীচে লেখা রয়েছে শালতোড়া বিধানসভা তৃণমূল কংগ্রেসের একনিষ্ঠ কর্মী ও সমর্থকবৃন্দ। পোস্টারে লেখা রয়েছে, ‘গৃহশত্রু বিভীষণ- প্রাক্তন বিধায়ক স্বপন বাউরিকে দল থেকে বহিষ্কার করতে হবে। শালতোড়ায় সন্তোষ মণ্ডলকে হারানোর জন্য স্বপন বাউরির বিচার চাই। বেইমান প্রাক্তন বিধায়কের সম্পত্তির তদন্ত চাই। প্রাক্তন বিধায়ক স্বপন বাউরি যুবকদের কাছ থেকে চাকরি দেওয়ার নাম করে যে টাকা নিয়েছে সর্বস্বান্ত হওয়া সেই বেকারদের টাকা অবিলম্বে ফেরৎ দিয়ে দল ছাড়তে হবে।’ সবুজ কালিতে ছাপার অক্ষরে এসব কথাই লেখা রয়েছে পোস্টারে।
দলের একাংশের মতে, এবার বাঁকুড়ায় ১২টি আসনের মধ্যে মাত্র চারটি আসন পায় তৃণমূল। দলীয় কোন্দল ও অন্তর্ঘাতের জেরে ভালো ফল করতে পারেনি তৃণমূল। এমনটাই মনে করা হচ্ছে। এবার সেই রোষই আছড়ে পড়েছে প্রাক্তন বিধায়কের বিরুদ্ধে। প্রাক্তন বিধায়ককে সরাসরি ঘরশত্রু বিভীষণ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এদিকে দুর্লভপুর সহ অন্যত্র লাগানো এই পোস্টারকে ঘিরে ব্যাপক শোরগোল তৃণমূলের অন্দরে।
এব্যাপারে স্বপন বাউরি বলেন, ‘এটা দলের লজ্জা। রাতের অন্ধকারে এই ধরণের পোস্টার তৃণমূলের নাম করে যারা দিয়েছে তার তদন্ত করে দেখা হোক।’ জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র দিলীপ আগরওয়াল পোস্টারের দায় চাপিয়েছেন বিজেপির ঘাড়ে। তবে বিরোধীদের উপর দায় চাপানোর চেষ্টা হলেও বাস্তবে দলের অন্দরের কোন্দল যে কমেনি তা একাধিক ঘটনায় ফের সামনে আসছে।