কবে হবে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক স্তরের ভরতির প্রক্রিয়া? তা নিয়ে ধোঁয়াশা ক্রমশ বাড়ছে। অথচ ইতিমধ্যে রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতর নির্দেশ দিয়েছে, আগামী ১০ অগস্টের মধ্যে ভরতি প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। সেই কাজে অনেকটা এগিয়েও গিয়েছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়।
কলকাতার মতো প্রেসিডেন্সিতে অবশ্য নম্বরের ভিত্তিতে ভরতি হয় না। প্রতি বছর প্রবেশিকা পরীক্ষার পড়ুয়াদের ভরতি নেওয়া হয়। সেই পরীক্ষার দায়িত্বে থাকে জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড। কিন্তু করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে এবার প্রবেশিকা বাতিল হয়ে গিয়েছে। তারপর থেকে প্রেসিডেন্সি বা জয়েন্ট এন্ট্রাস বোর্ডের তরফে প্রবেশিকার বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। তার জেরে পড়ুয়াদের মধ্যে ধোঁয়াশা বাড়ছে।
সূত্রের খবর, প্রবেশিকা জট কাটাতে এখনও বিস্তারিত আলোচনা করেনি প্রেসিডেন্সি এবং জয়েন্ট এন্ট্রাস বোর্ড। তবে চলতি সপ্তাহে সেই বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে সূত্রের খবর। প্রেসিডেন্সির তরফে জানানো হয়েছে, পরিস্থিতির নজর রয়েছে কর্তৃপক্ষের। সময়মতো উপযুক্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
একটি অংশের আবার দাবি, বর্তমানে যেভাবে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, তাতে প্রবেশিকা বাতিলের সম্ভাবনাও রয়েছে। যদিও প্রবেশিকা বাতিলের বিরোধিতা করেছে এসএফআই। তাদের বক্তব্য, উচ্চ মাধ্যমিকে এমনিতেই এবার সব পরীক্ষা হয়নি। ফলে পড়ুয়াদের প্রকৃত মেধার যাচাই হয়নি। সেজন্য প্রবেশিকা নিতেই হবে। প্রবেশিকা না নেওয়া হলে আন্দোলনের নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছে বাম ছাত্র সংগঠন। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে পরীক্ষা নেওয়া কি সম্ভব? এএসআইএফের বক্তব্য, আপাতত পঠনপাঠন তো শুরু করা যাবে না। তাই আপাতত প্রবেশিকা রাখা হোক। পরে প্রবেশিকা নিয়ে ভরতি করা হোক। সেই মর্মে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে চিঠিও দেওয়া হয়েছে।