বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > প্রাণ বাঁচাতে স্বামীকে জড়িয়ে ধরলেন জ্বলন্ত স্ত্রী

প্রাণ বাঁচাতে স্বামীকে জড়িয়ে ধরলেন জ্বলন্ত স্ত্রী

দগ্ধ শংকর দাস ও তাঁর স্ত্রী সাধনা

অভিযোগ অস্বীকার করেছেন শংকরবাবু। ওই হাসপাতালেরই বার্ন ওয়ার্ডে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন তিনি। সাংবাদিকদের তিনি জানিয়েছেন, স্ত্রী বাড়ি ফিরলে তিনি রান্না করার জন্য বাজার করে এনে দেন। তার পর ফের অশান্তি শুরু করেন সাধনা।

পণের দাবিতে বধূকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে। জ্বলন্ত অবস্থায় স্বামীকে জড়িয়ে ধরেন বধূ। যার জেরে গুরুতর দগ্ধ হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন তিনিও। ঘটনা উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের মনিপাড়ার। অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মৃতের স্বামী।

মৃত সাধনা বর্মনের বাবার বাড়ির কর্ণজোড়ার পিরোজপুরে। তাঁর পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, পেশায় গ্যারেজ কর্মী শংকর মণ্ডলের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল সাধনার। বিয়ের ১ বছর পর থেকে টাকার দাবিতে শুরু হয় অত্যাচার। শ্বশুরবাড়ির অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে বাপের বাড়ি এসে থাকতেন বধূ। শনিবার বিকেলে শ্বশুরবাড়ি ফেরেন তিনি। রাত ১০টা নাগাদ স্থানীয় এক ব্যক্তি ফোনে জানান বধূ অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন। রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজে গিয়ে বাবার বাড়ির লোকেরা দেখেন প্রায় ১০০ শতাংশ দগ্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছেন সাধনা। বাবার বাড়ির লোকেদের তিনি জানান, শাশুড়ি, জা, ভাসুর মিলে তাঁর গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে। প্রাণে বাঁচতে তিনি স্বামীকে জড়িয়ে ধরেন। তখন দগ্ধ হন তিনিও।

অভিযোগ অস্বীকার করেছেন শংকরবাবু। ওই হাসপাতালেরই বার্ন ওয়ার্ডে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন তিনি। সাংবাদিকদের তিনি জানিয়েছেন, স্ত্রী বাড়ি ফিরলে তিনি রান্না করার জন্য বাজার করে এনে দেন। তার পর ফের অশান্তি শুরু করেন সাধনা। এর মধ্যে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিতে যান তিনি। বাধা দেন শংকরবাবু। কিছুক্ষণ পর সবার অলক্ষ্যে গায়ে আগুন দেন তিনি।

যদিও নিহতের পরিবারের সদস্যদের দাবি, বউদির সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল শংকরের। স্ত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক ছিল না তার। ঘটনায় বধূনির্যাতন ও খুনের ধারায় FIR করেছে পুলিশ। কী করে বধূর মৃত্যু হল তা জানতে পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। বধূর মৃত্যুকালীন জবানবন্দির কোনও ভিডিয়ো রয়েছে কি না জানার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা।

 

 

বন্ধ করুন