অগ্নিপথ প্রকল্পে গোটা দেশ জ্বলছে। এবার এই বিক্ষোভের আঁচ আছড়ে পড়ল ব্যারাকপুরে। রেল অবরোধ করলেন চাকরি প্রার্থীরা। শনিবার সকালে লাইনে বসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা। তার জেরে শিয়ালদহ শাখার মেন লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। অফিসটাইমে এই বিক্ষোভে পড়ে নাজেহাল হলেন নিত্যযাত্রীরা।
ঠিক কী ঘটেছে ব্যারাকপুরে? স্থানীয় সূত্রে খবর, আজ, শনিবার ছাত্র–যুবরা একেবারে ব্যারাকপুর স্টেশন সংলগ্ন ১৪ নম্বর রেলগেট আটকে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। রেললাইনে নেমেও বিক্ষোভ–অবরোধ দেখান অধিকাংশ ছাত্র–যুবরা। যার জেরে এদিন সকাল থেকেই শিয়ালদহ মেন শাখায় ট্রেন চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। আপ এবং ডাউন লাইনে একাধিক ট্রেন দাঁড়িয়ে পড়ে।
এরপর সেখানে কী ঘটল? এই পরিস্থিতিতে পুলিশ এবং রেল পুলিশ এসে বিক্ষোভকারীদের বুঝিয়ে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছেন। অগ্নিপথ বিক্ষোভের জেরে এই রাজ্য থেকে ইতিমধ্যে ১৩টি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। অগ্নিপথ–এর প্রতিবাদে দেশজুড়ে চলা আন্দোলন, আত্মহত্যার ঘটনার জন্য কে দায়ী? এই প্রশ্ন তুলেছেন বিক্ষোভকারীরা।
উল্লেখ্য, বিহারের নানা জায়গায় সরকারি সম্পত্তি নষ্ট, ট্রেনে অগ্নিসংযোগ, অবরোধ, রেল রোকো চলছে। গোটা দেশে এখন আগুন জ্বলছে। তবে নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড় মোদী সরকার। এমনকী দেশজুড়ে যখন আগুন জ্বলছে তখন নীরব মোদী। আজ গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসতে চলেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। বিহারের ১২টি জেলায় ৪৮ ঘণ্টার জন্য বন্ধ রয়েছে মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা। দারভাঙ্গা ও সমস্তিপুরে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।