হিমঘরের জমি রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। জমি রেজিস্ট্রেশন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন জারি থাকবে। জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকের পর এই কথাই স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিল জমি, জীবিকা, বাস্তুতন্ত্র ও পরিবেশ রক্ষা কমিটি। উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে এই জমি, জীবিকা, বাস্তুতন্ত্র, পরিবেশ রক্ষা কমিটি।
জমি, জীবিকা, বাস্তুতন্ত্র রক্ষা কমিটির সঙ্গে জেলা প্রশাসনের বৈঠক হয়েছে। বৈঠকের পর কমিটির তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ‘হিমঘরের ব্যাপারে ডিটেলস প্রজেক্ট রিপোর্ট বা ডিপিআর তৈরির কাজ শেষ। জমি কেনার যাবতীয় প্রক্রিয়া প্রায় শেষ বলে প্রশাসন জানিয়েছে। পাশাপাশি হাসপাতালে বিদ্যুতের লাইন না থাকার বিষয়টিও উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। ৫৫টি মামলার মধ্যে ৪৭টি মামলার ফাইনাল রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে। ৮টি মামলা বাকি রয়েছে। যেহেতু জেলাশাসক ও পুলিশ সুপার নতুন এসেছেন, তাই তাঁরা ইউএপিএ–এর ব্যাপারে কিছুটা সময় নিয়েছেন। কয়েকদিন পরে তাঁরা এই ব্যাপারে জানাবেন। জেলা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, জমি কেনার বিষয়টি খুব তাড়াতাড়ি শুরু হবে। তবে কোন একটি কাজ ঠিকভাবে না এগোনো পর্যন্ত আন্দোলন প্রত্যাহার করা হবে।’
এদিকে জেলা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, সব কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আন্দোলন প্রত্যাহারের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। হিমঘর রেজিস্ট্রেশনের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট দফতরকে জানানো হয়েছে। উল্লেখ্য, সরকারি চুক্তি অনুযায়ী দাবি পূরণ না হওয়ায় ভাঙরের পাওয়ার গ্রিডে তালা লাগিয়ে দিল জমি জীবিকা পরিবেশ রক্ষা কমিটির সদস্যরা। তাঁদের অভিযোগ, সরকারের সঙ্গে তাঁদের যা চুক্তি হয়েছিল তা পূরণ হয়নি। কমিটির দাবিগুলির মধ্যে একটি ছিল হিমঘর তৈরি। এই পাওয়ার গ্রিড তৈরি নিয়ে ভাঙড় একটা সময়ে রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল।