ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন। দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই করতেন সংসারটাকে দাঁড় করানোর জন্য। আর সেই নার্সের সরকারি চাকরি যখন পেলেন তখনই ডান হাতের কব্জি থেকে স্ত্রীর হাতটা কেটে নিল স্বামী। অভিযোগ এমনটাই। তারপরেও দমবার পাত্রী নন পূর্ব বর্ধমানে কেতুগ্রামের রেনু খাতুন। তবে ভালোবেসে যে মানুষটাকে জীবন সঙ্গী বেছে নিয়েছিলেন সে যে এমন কাণ্ড ঘটাতে পারে তা কিছুতেই ভাবতে পারছেন না রেনু।
মঙ্গলবার সাংবাদিকদের সামনে তিনি বলেন, আমি এটা বিশ্বাস করতে পারছি না যে এরকম একটা ঘটনা হতে পারে আমার সঙ্গে। আমি এটাই চাইব যে আমার জবটা হোক। আর যারা এই কাজটা করে পালিয়েছে সেই হাজব্যান্ড ও তার দুজন বন্ধুকে ধরা হোক ও তাদের শাস্তি দেওয়া হোক। আমার ভাইয়েরও পরীক্ষা ছিল। সেও পরীক্ষা দিতে পারেনি।
রেণু বলেন, স্বাস্থ্যভবন আমার চাকরিটা দেবে শুনেছি। আমি যখনই ছুটির সময় বাড়ি যেতাম তখনই স্বামী আমায় বলত আমি চাকরি পেলে ছেড়ে চলে যাব। এটা আমি অনেকবার শুনেছি। তারপরেও আমি বার বার বলেছি, সরকারি চাকরি পেয়েছি। একসঙ্গেই থাকব। তারপরেও জানি না হয়তো ফ্রেন্ডরা ব্রেন ওয়াশ করে দিয়েছিল। ঘরের মধ্যে এতবড় ঘটনা হল বাবা মায়েরা কেউ জানতেন না এটা বিশ্বাস হয় না। বলছেন রেণু। এদিকে ইতিমধ্যেই পুলিশ রেণুর শ্বশুড় ও শাশুড়িকে গ্রেফতার করেছে। দুর্গাপুরের হাসপাতালে স্ত্রীকে ভর্তি করেই বেপাত্তা স্বামী।