আবার পথ দুর্ঘটনার বলি দু’জন। অনুষ্ঠান বাড়িতে আনন্দ করে বাড়ি ফিরছিলেন একটি পরিবার। তবে তাঁরা মোটরবাইকে চড়ে ফিরছিলেন। মোটরবাইক চালাচ্ছিলেন ব্যক্তি। আর পিছনে বসেছিলেন তাঁর স্ত্রী ও মেয়ে। তখনই ঘটল পথ দুর্ঘটনা। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি অ্যাম্বুলেন্স সোজা ধাক্কা মারল মোটরবাইকে। সেই ধাক্কা সামলাতে না পেরে মোটরবাইক ধাক্কা মারে একটি টোটোর পিছনে। এই পর পর ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দু’জনের। আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। তাঁরা সকলেই এখন ভর্তি হাসপাতালে। কোচবিহারের তুফানগঞ্জ এলাকায় জাতীয় সড়কের ধারে তল্লিগুড়ি বাজারে এখন নেমেছে শোকের ছায়া।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? স্থানীয় সূত্রে খবর, বুধবার সন্ধ্যায় তল্লিগুড়ি বাজার এলাকায় একটি অনুষ্ঠান ছিল। স্থানীয় ক্লাব সেখানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করছিল। আর তার সংলগ্ন বাড়িতে ছিল খাওয়া–দাওয়া। সেখানেই এসেছিলেন ওই ব্যক্তি পরিবার নিয়ে। কিন্তু ফেরার সময় তুফানগঞ্জ থেকে কোচবিহারের দিকে যাচ্ছিল একটি অ্যাম্বুল্যান্স। ওই অ্যাম্বুল্যান্সের গতি ছিল তীব্র। তার জেরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে অ্যাম্বুল্যান্সটি প্রথমে মোটরবাইককে ধাক্কা মারে। ওই মোটরবাইক ধাক্কা মারে টোটো–কে। তখনই ছিটকে পড়ে যান ওই ব্যক্তি এবং তাঁর স্ত্রী ও কন্যা। সেখান থেকে তাঁদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা দু’জনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় আলোড়ন পড়ে গিয়েছে।
তারপর ঠিক কী ঘটল? জাতীয় সড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মোটরবাইকে ধাক্কা মারে ওই অ্যাম্বুলেন্স। তখন নিজের মোটরবাইকে বাড়িতে ফিরছিলেন কাদের মিঞা, তাঁর স্ত্রী জাবেদা বিবি (৩৭) এবং মেয়ে খুশি বানু (১৯)। পথ দুর্ঘটনার জেরে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় জাবেদা এবং খুশির। রক্তাক্ত কাদের মিঞাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চলছে তাঁর চিকিৎসা। এই ঘটনায় গোটা পরিবারে শোকের ছায়া নেমে আসে। স্থানীয়রা দ্রুত আহতদের উদ্ধার করে কোচবিহার এমজেএন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁদের। চিকিৎসকরা দু’জনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন এবং বাকিরা এখনও চিকিৎসাধীন।
আরও পড়ুন: স্থায়ী রেজিস্ট্রারকে সরিয়ে দিলেন অস্থায়ী উপাচার্য, বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে আলোড়ন
আর কী জানা যাচ্ছে? সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান তখনও চলছিল। সেই সময়ই পথ দুর্ঘটনার খবর আসে। আর তার জেরেই এলাকায় নেমেছে শোকের ছায়া। অ্যাম্বুল্যান্স চালকের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। সেই চালক নেশাগ্রস্ত অবস্থায় অ্যাম্বুল্যান্স চালাচ্ছিল কিনা সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অ্যাম্বুলেন্সট গিয়ে ধাক্কা মারে টোটোতে। সেখানে বসে থাকা পূর্ণচন্দ্র অধিকারী–সহ কয়েকজন ব্যক্তি গুরুতর জখম হন। কাদের মিঞার বাবা বলেন, ‘আমি শুনলাম ছেলে রাস্তায় পথ দুর্ঘটনার মুখে পড়েছে। বৌমা–নাতনির মৃত্যুর খবরও শুনেছি। একটা অ্যাম্বুলেন্স ধাক্কা মেরেছে। আর তাতেই আমাদের পরিবারটি শেষ।’