বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে একটা অবাক করা কাণ্ড ঘটেছে। সেটা হল— রাজ্য সরকার নিযুক্ত স্থায়ী রেজিস্ট্রারকে সরিয়ে দিয়েছে রাজ্যপাল নিযুক্ত অস্থায়ী উপাচার্য। এমন ঘটনা যে ঘটতে পারে তা কেউ কল্পনাও করতে পারেননি। এমনকী স্থায়ী রেজিস্ট্রারকে সরিয়ে সেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ডেপুটি রেজিস্ট্রারকে। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে। তবে এখানেই ঘটনা শেষ নয়। স্থায়ী রেজিট্রারকে ‘পুট অন ওয়েট’ অর্ডার ইস্যু করেছেন অস্থায়ী উপাচার্য।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এখন চর্চা তুঙ্গে। অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করা এখন বন্ধ আছে। কারণ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তা এখন থেমেছে। তা না হলে প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করে চলে ছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। আর তা নিয়ে নবান্ন–রাজভবনের মধ্যে সংঘাতের বাতাবরণ বইছিল। এখানের অস্থায়ী উপাচার্য গৌতম সাহাকে নিয়োগ করেছিলেন রাজ্যপাল। আর স্থায়ী রেজিস্ট্রার নিয়োগ করে রাজ্য সরকার। এবার তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হল। যা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে বিধানচন্দ্র কৃষি বিদ্যালয়ে।
এদিকে রাজ্য সরকার নিযুক্ত স্থায়ী রেজিস্ট্রারকে দায়িত্ব থেক সরানোর নোটিশ ঘিরে আলোড়ন পড়েছে। এখন রেজিস্ট্রারের দফতরের কাজ সামলাবেন ডেপুটি রেজিস্ট্রার। বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য গৌতম সাহা বলেন, ‘ওঁর কাছ থেকে কিছু বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে। ওঁকে তার জন্য সময়ও দেওয়া হয়েছে। ততদিন পর্যন্ত কাজ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।’ এমন কোন বিষয় জানতে চাওয়া হল? যে কাজ বন্ধ করে সরিয়ে দেওয়া হল। এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি কেউ।
আরও পড়ুন: বাংলার সরকারকে ২০০ কোটি টাকা পাঠাল কেন্দ্রীয় সরকার, কোন খাতে এল অর্থ?
আর কী জানা যাচ্ছে? বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী রেজিস্ট্রার শুভ্রজ্যোতি ঘোষ। তাঁকে এখানে পাঠায় রাজ্য সরকার। শুভ্রজ্যোতি ঘোষকে নিয়োগপত্র দিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়। এই স্থায়ী রেজিস্ট্রারের বেতনও বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই হতো। সেখানে হঠাৎ এমন ঘটনা প্রকাশ্যে আসায় অধ্যাপকদের মধ্যেও কানাঘুষো আলোচনা চলছে। এই বিষয়ে সংবাদমাধ্যমকে কোনও কথা বলেননি স্থায়ী রেজিস্ট্রার। বরং অস্থায়ী উপাচার্য গৌতম সাহা বলেন, ‘কোনও জায়গায় আমাদের দ্বন্দ্ব নেই। আমাদের পরিবার নিয়ে আমরা ভালই আছি।’