রাম মন্দিরের উদ্বোধন নিয়ে RSS-এর প্রস্তুতি সভায় দেখা গেল তৃণমূল নেতাদের। যা নিয়ে ব্যাপক শোরগোল পড়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের এগরায়। দলের ৩ নেতার এহেন কাণ্ডে বেজায় অস্বস্তিতে স্থানীয় তৃণমূল। ওদিকে RSSএর সভায় যাওয়া ৩ নেতার দাবি, তাঁরা জানতেন না সভাটির আয়োজক সঙ্ঘ।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এগরার ভবানীচকে রাম মন্দির উদ্বোধন সংক্রান্ত একটি সভার আয়োজন করেছিল RSS. সেখানে স্বেচ্ছাসেবকদের ক্লাসও চলছিল। সভায় জানানো হয়, রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন এলাকায় বাড়ি বাড়ি ভোগ বিতরণ করা হবে। এসবের মধ্যেই সেখানে হাজির হন এগরা ২ পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূলি সদস্য চন্দ্রশেখর জানাসহ আরও ২ তৃণমূল নেতা। তৃণমূল নেতাদের RSSএর বৈঠকে দেখে শোরগোল পড়ে যায়। বেশ কিছুক্ষণ বসে মঞ্চ থেকে নেমে বেরিয়ে যান তাঁরা। তবে ততক্ষণে যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে।
এই নিয়ে সিপিএম দিদি - মোদী সেটিং তত্ত্ব নিয়ে সরব হয়। বাধ্য হয়ে বৃহস্পতিবার মুখ খোলেন চন্দ্রশেখরবাবু। তিনি বলেন, ওই অনুষ্ঠানে আমাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। জানানো হয়েছিল ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়েছে। তাই গিয়েছিলাম। গিয়ে দেখি সেখানে অন্য রাজনৈতিক দলের ক্লাস চলছে। সঙ্গে সঙ্গে মঞ্চ থেকে নেমে আসি আমরা। এই ঘটনায় তৃণমূল অস্বস্তিকে পড়লেও ৩ নেতাকে এখনো শো-কজ করেনি তারা।
বিজেপির দাবি, RSS কোনও রাজনৈতিক দল নয়। তাদের সভায় যে কেউ যেতে পারে। এর সঙ্গে রাজনীতি জড়ানো অনুচিত। ওদিকে তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে, ৩ নেতার সঙ্গে কথা বলে এব্যাপারে পদক্ষেপ করবে দল।
ওদিকে বামেদের দাবি, তদন্তকারী সংস্থাগুলি দুর্নীতির তদন্তে প্রায় মাথা পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছে। যে কোনও দিন তৃণমূল কংগ্রেস দলটা উঠে যাবে। সেকথা টের পেয়ে বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছেন তৃণমূল নেতারা। কারণ চোরেদের জন্য বামেদের দরজা বন্ধ।