কর্কট রোগ শরীরে বাসা বাঁধলে প্রথম দিকে কিছুই বোঝা যায় না। যখন বোঝা যায়, তখন অনেকটাই দেরি হয়ে যায়। কর্কট রোগ নির্ধারণ করার জন্য তাই প্রায়শই নিজের শরীরের বিভিন্ন অংশের দিকে নজর দিতে হয়। কর্কট রোগের তেমনি একটি প্রকারভেদ হল মুখের ক্যান্সার, যা চট করে বোঝা যায় না। তবে নিয়মিতভাবে যদি আপনি আপনার মুখের বিভিন্ন অংশকে ভালো করে লক্ষ্য করেন, তাহলেই বুঝতে পারবেন আপনার মুখে অবাঞ্ছিত কোনও রোগের বাসা বেধেছে কিনা।
কীভাবে জানতে পারবেন আপনার ওরাল ক্যানসার হয়েছে কি না
মুখের ক্যান্সার সনাক্ত করার জন্য নিয়মিতভাবে মুখ, ঠোঁট, জিভ ও মাড়ির দিকে নজর রাখতে হবে। কোনও সন্দেহজনক ক্ষত বা অস্বাভাবিকতা দেখলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। প্রাথমিক কিছু শনাক্তকরণের মাধ্যমেই আপনি বুঝে যাবেন আপনি কতটা সুস্থ রয়েছেন। জানুন ঠিক কোন কোন অস্বাভাবিকতা দেখলে বুঝবেন, মুখের ক্যান্সারে আপনি আক্রান্ত কিনা।
অস্বাভাবিক ক্ষত: আপনার মুখে যদি বারবার ঘা হয় তাহলে এটি উদ্বেগের কারণ হতে পারে। চিকিৎসার তিন সপ্তাহ পরেও যদি ঘা ঠিক না হয় তাহলে পরীক্ষার মাধ্যমে জেনে নিতে হবে কর্কট রোগ বাসা বেধেছে কিনা।
দাঁত পড়ে যাওয়া: কোনও কারন ছাড়াই যদি মাড়ি আলগা হয়ে দাঁত পড়ে যায়, কোনভাবে যদি মুখ খুলতে অসুবিধা হয় তাহলে সঙ্গে সঙ্গে পরীক্ষার মাধ্যমে জেনে নিতে হবে কোনও জটিল রোগ বাসা বেধেছে কিনা।
গলার স্বরের পরিবর্তন: আকস্মিকভাবে যদি আপনার গলার স্বর পরিবর্তিত হয়ে যায়, তাহলে বুঝতে হবে আপনার কণ্ঠনালীতে কোনও সমস্যা হয়েছে। এছাড়াও খাবার খেতে সমস্যা হলে সেটিকে ফেলে না রেখে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
মুখে কোনও ফোলা ভাব: মুখের মধ্যে কোনও পিণ্ড অথবা ফোলা ভাব যদি লক্ষ্য করেন তাহলে ভালো করে দাঁত এবং মাড়ি পর্যবেক্ষণ করে বোঝার চেষ্টা করুন কোনও সমস্যা হয়েছে কিনা। এছাড়া মাড়ি থেকে যদি অহেতুক রক্তপাত হয় অথবা দাঁতের মধ্যে যদি ফাঁক তৈরি হয় তাহলে বুঝতে হবে কঠিন সময় আসন্ন।