হুগলি জেলা পরিষদের পঞ্চায়েত কাউন্সিলের অধ্যক্ষের ঘরে তালার যুদ্ধ এবার গড়াল রাজ্যপালের দরবারে। বুধবার রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়, জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর রাও-সহ একাধিক আধিকারিকদের চিঠি পাঠালেন পঞ্চায়েত কাউন্সিলের অধ্যক্ষ সমীরণ মিত্র।
সদ্য শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন হরিপালের নেতা। এমনকী তাঁর সঙ্গে কথা বলেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তাতেও কাজ হয়নি। বরং তৃণমূলের অন্দরে ‘গোষ্ঠী রাজনীতির’ শিকার হয়ে গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন বলে জানান সমীরণ। তারপর মঙ্গলবার কৃষি কর্মাধ্যক্ষ মনোজ চক্রবর্তীর নির্দেশে সমীরণের ঘরের দরজায় তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। তাঁর দাবি, তৃণমূলের প্রতীকে জিতে পদ পেয়েছিলেন সমীরণ। তাই দল পরিবর্তনের পর তাঁর পদে থাকার কোনও নৈতিক অধিকার নেই।
সেই বিষয়টি জানতে পেরে বুধবার সমীরণের জেলা পরিষদ ভবনে আসার কথা ছিল। শেষপর্যন্ত সেই পথে হাঁটেননি তিনি। বরং দাবি করেন, তিনি পদত্যাগ করেননি। তা সত্ত্বেও তাঁকে জেলা পরিষদের না ঢোকার জন্য হুমকি দেওয়া হয়েছিল। তার প্রতিবাদ জানিয়ে রাজ্যপাল এবং জেলা প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকদের চিঠি লেখেন সমীরণ। অধ্যক্ষের প্যাডে লেখা সেই চিঠিতে মনোজের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
যদিও নিজের দাবিতে অনড় মনোজ। তিনি জানিয়েছেন, দলত্যাগ-বিরোধী আইনে সমীরণকে পদচ্যুত করার জন্য হুগলির জেলাশাসককে চিঠি দেওয়া হচ্ছে। সমীরণকেও চিঠি পাঠানো হবে। তাঁর বক্তব্য, সেই চিঠির পর অধ্যক্ষ পদে যদি থাকতে পারেন সমীরণ, তাহলে থাকবেন তিনি। তবে মনোজের সেই অবস্থানের বিরোধিতা করেছে তৃণমূলের একাংশ। সেই অংশের বক্তব্য, জেলা পরিষদ ভবনে এরকম ঘটনা একেবারেই কাম্য নয়। তাতে উলটে প্রচার পাচ্ছে বিজেপি।