রাজ্য পুলিশ সন্দেশখালির শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করে। তারপর সিআইডি’র হাতে তুলে দেয়। কিন্তু কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী শেখ শাহজাহানকে দিয়ে দিতে হয়েছে সিবিআইয়ের হাতে। আজ, রবিবার হেফাজতের মেয়াদ শেষ করে আবার বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হচ্ছে সন্দেশখালির তৃণমূল কংগ্রেস নেতাকে। আজ সকালেই কড়া পুলিশের প্রহরায় সন্দেশখালির বাঘকে নিয়ে বসিরহাট আদালতে পৌঁছন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসাররা। সিবিআইয়ের হাত থেকে শাহজাহানকে রাজ্য পুলিশের হাতে ফিরিয়ে আনার জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে। সেখানে আবার হেফাজতে শেখ শাহজাহানকে চায় সিবিআই।
এদিকে গ্রেফতার হওয়া তৃণমূল কংগ্রেস নেতাকে আবার হেফাজতে চেয়ে এদিন আদালতে আবেদন জানানো হবে বলে সিবিআই সূত্রে খবর। সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে রাজ্য সরকার। রাজ্য সরকারের হয়ে সর্বোচ্চ আদালতে সওয়াল করতে নেমেছেন আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি। শাহজাহানকে সিআইডি হেফাজতে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে রাজ্য সরকার। টানা ৫৬ দিন গা–ঢাকা দিয়েছিলেন শেখ শাহজাহান। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। ইডি অফিসারদের উপর হামলা করার মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে শাহজাহানের বিরুদ্ধে। গ্রেফতার হতেই এখন তাঁকে নিয়ে টানাপোড়েন শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: ব্রিগেডে তৃণমূল কংগ্রেসের ‘জনগর্জন’ সভায় বাড়ছে ভিড়, কোন রাস্তাগুলি বন্ধ? জানাচ্ছে ট্রাফিক
অন্যদিকে ২৯ ফেব্রুয়ারি ভোররাতে মিনাখাঁ থেকে গ্রেফতার করা হয় সন্দেশখালির শেখ শাহজাহানকে। সেদিনই বসিরহাট আদালতে তোলা হলে তাঁকে ১০ দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয় আদালত। পুলিশ হেফাজতে থাকার সময়ই তাঁকে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। এই নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য। তাতে অবশ্য তেমন লাভ হয়নি। কলকাতা হাইকোর্টের রায়ই বহাল রাখে সুপ্রিম কোর্ট। এখন সিআইডির হাতে তদন্ত ফেরানোর চেষ্টা চলছে। সিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়ায় সিআইডির ভূমিকাকে খাটো করা হয়েছে বলে মনে করছে রাজ্য। বিরোধীরা ইতিমধ্যেই বলতে শুরু করেছে শাহজাহানকে বাঁচাতে চাইছে রাজ্য।
এছাড়া শেখ শাহজাহানকে হস্তান্তর নিয়ে আগেই টানাপোড়েন চলেছে বিস্তর। শেষে গত বুধবার রাতে ভবানীভবনে সিআইডির হেফাজত থেকে সিবিআই তাঁকে নিজাম প্যালেসে নিয়ে যায়। গত ৫ জানুয়ারি শাহজাহানের খোঁজে সন্দেশখালিতে গিয়ে উন্মত্ত জনতার হাতে মার খান ইডি অফিসাররা। তারই তদন্ত করছে সিবিআই। তবে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, ‘পুলিশ–প্রশাসন হয়তো ভেবেছে তদন্তের জন্য তারাই যথেষ্ট। তাই তদন্তের স্বার্থে পদক্ষেপ করেছে। এই নিয়ে কিছু বলার নেই।’