এবার দিল্লি গেলেন সৌমিত্র খাঁ। দেখা করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডার সঙ্গে। বিদ্রোহের আগুনে জল ঢেলে বিজেপির হয়ে লড়াই করার বার্তাও দিলেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ। এদিকে সৌমিত্রর আচমকা দিল্লি সফর ঘিরে গুঞ্জন শুরু হয়েছে বঙ্গ রাজনৈতিক মহলেও। উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই সৌমিত্র ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে তিনি আর যুব মোর্চায় থাকতে চান না। এদিকে তাঁর থেকে 'জুনিয়র' রাজু বিস্ত, অনুপ সাহা যুব মোর্চার কেন্দ্রীয় স্তরের গুরুত্বপূর্ণ পদ পেয়েছে। এই আবহে সৌমিত্রকে নতুন কোনও পদ দেওয়া হবে কি না, তা নিয়ে বাড়ছে জল্পনা।
এিন এক ফেসবুক পোস্ট করে সৌমিত্র নড্ডার সঙ্গে নিজের ছবি দেন। লেখেন, 'ভাই, আমি আবার নতুন করে শুরু করব। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডার আশীর্বাদ নিয়ে আমা শুরু করব। লড়াইটাই আসল কথা। তাই আমি আমার শেষ কথা পরে বলব। ভারত মাতা কি জয়। বিজেপি জিন্দাবাদ।'
বাংলা থেকে যখন চারজন সাংসদ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পদে শপথ নিচ্ছেন, তখন বঙ্গ বিজেপির অন্দরে প্রবল ঝড় তুলে শুভেন্দু-দিলীপদের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। যুব মোর্চার সভাপতি পদ থেকে পদত্যাগ করেন সৌমিত্র। পরে অবশ্য কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের 'নির্দেশে' পদত্যাগ প্রত্যাহার করেন। তবে তারপরও সৌমিত্রকে নিয়ে চাপানউতোর শেষ হয়নি দলের অন্দরে। সৌমিত্রও থেকে থেকে বিতর্ক উস্কে দিয়েছেন। দলবদলের জল্পনাও তৈরি হয় সৌমিত্রর স্ত্রীর বক্তব্যে। এই পরিস্থিতিতে এবার নড্ডার সঙ্গে সৌমিত্রর সাক্ষাত্ বেশ তাত্পর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পরিষদে রদবদল হওয়ার পর থেকেই ঘটে বিপত্তি। বঙ্গ-বিজেপিতে ধাক্কা লাগে সেই রদবদলের। মন্ত্রিত্ব পাওয়া-না পাওয়া নিয়ে শুরু হয় একে অপরের বিরুদ্ধে কাদা ছোড়াছুড়ি। এই আবহে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিদ্রোহী হয়ে ওঠেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। জানিয়ে দেন তিনি আর ভারতীয় জনতা যুব মোর্চার বঙ্গ-শাখার সভাপতি পদে থাকতে চান না। ইস্তফা দেওয়ার সেই সোশ্যাল-পোস্টের কয়েক মিনিটের মধ্যে তিনি হাজির হন ফেসবুক লাইভে। যেখানে তিনি কার্যত তুলোধনা করেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। দিল্লির নেতাদের শুভেন্দু ভুল বোঝাচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেন। পাশাপাশি তোপ দাগেন বঙ্গ-বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে। তবে এই সব বিতর্ক এবার পিছনে ফেলে সামনে এগিয়ে যাওয়ার বার্তা দিলেন সৌমিত্র খাঁ।