১১ ঘণ্টা ম্যারাথন জেরার পর মঙ্গলবার রাতে 'কালীঘাটের কাকু' ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র গ্রেফতার করে ইডি। তাঁর গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে নাম না করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এবার তাঁকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বললেন, 'পারলে কাকুকে বাঁচান।'
দুর্নীতির তদন্তে অসহযোগিতার জন্য রাতে সুজয়কৃষ্ণকে গ্রেফতার করেছে ইডি। মধ্যরাতেই টুইট করে অভিষেককে নিশানা করেন শুভেন্দু। এবার তিনি সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বললেন,'হৃদয়ের কাছাকাছি পৌঁছে গেল তদন্ত। তদন্তকারী সংস্থার উচিত হৃদয় পর্যন্ত গিয়ে না থামা, মাথা পর্যন্ত পৌঁছনো।' এর পরই তাঁর চ্যালেঞ্জ ,'পারলে কাকুকে বাঁচান।'
বুধবার রাতে শুভেন্দু টুইটে লেখেন, 'শেষ পর্যন্ত আইনের লম্বা হাত মাস্টারমাইন্ড পর্যন্ত পৌঁছল। কেউ রেহাই পাবে না, মাথারাও জেলে যাবে, সময় হয়ে গিয়েছে।' তিনি লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস নাম একটি সংস্থার ডিরেক্টরদের একটি তালিকার স্ক্রিনশটও শেয়ার করেন। যে তালিকায় নাম রয়েছে, লতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অমিত বন্দ্যোপাধ্যায়, রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিশ্বনাথ ভট্টাচার্যের। ডিরেক্টর হিসাবে নাম রয়েছে সুজয়কৃষ্ণের।
ওই প্রসঙ্গ তুলে বিরোধী দলনেতা সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জবাবদিহি চান। তিনি বলেন,'যিনি গ্রেফতার হয়েছেন, তিনি লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস সংস্থাটির সিইও। এই সংস্থায় তো মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ আত্মীয়রাও রয়েছেন। এ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে সাফাই দিতে হবে।'
ইডির দাবি করেছে, নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে সরাসরি যোগ ছিল সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের। কুন্তল ঘোষ সুজয়কৃষ্ণকে ৭০ লাখ টাকা দিয়েছিলেন। ১০ লাখ গিয়েছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছেও।
ইডির আরও দাবি, মানিক ভট্টাচার্যের সঙ্গেও নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন সুজয়কৃষ্ণ। ২০১৮ সালের পর থেকে মানিকের সঙ্গে নিয়মিত যোগ ছিল তাঁর।
এ দিন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের গলাতেও শুভেন্দুর সুর শোনা গিয়েছে। তিনি বলেন, ‘কাকু হল। জেঠু হল। এবার হয়তো পিসির সময় আসছে। ভাইপোও আছে। ক্লু খোঁজা হচ্ছিল। কান টানলে মাথা আসে। কান টানাটানি শেষ। এবার হয়তো মাথা আসবে।’