মঙ্গলবার দীর্ঘ জেরার পর গ্রেফতার করা হয় সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকু– কে। নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডেতাঁর গ্রেফতারের পর থেকেই রাজ্য–রাজনীতি সরগরম হয়ে ওঠে। একদিকে শুভেন্দু অধিকারী সুর চড়িয়ে টুইট করেন। আবার তার জবাব দেন টুইট করে কুণাল ঘোষ। এই পরিস্থিতির মধ্যেই এবার বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বুধবার সকালে নিউটাউন ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে এসে দিলীপ ঘোষ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নতুন করে বিতর্ক তৈরি করে দিলেন।
এদিন তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, কাকুর পরে কে? এখানেই তিনি বিতর্কিত মন্তব্য করে বসেন। তাঁর কথায়, ‘কাকু হল। জেঠু হল। এবার হয়তো পিসির সময় আসছে। ভাইপোও আছে। ক্লু খোঁজা হচ্ছিল। কান টানলে মাথা আসে। কান টানাটানি শেষ। এবার হয়তো মাথা আসবে।’ দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্য সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ইঙ্গিত করে। ফলে রাজ্য–রাজনীতিতে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। তাহলে কি দিলীপ ঘোষ জানেন পরের খবরটা? তদন্ত চলাকালীন এমন মন্তব্য কি সম্মানহানি করা নয়? উঠছে প্রশ্ন।
এদিকে পার্থর থেকেও কি গুরুত্বপূর্ণ কাকু? এই প্রশ্ন করা হয় দিলীপ ঘোষকে। জবাবে তিনি বলেন, ‘পার্থ মন্ত্রী ছিলেন। নিজের মতো একটা চ্যানেল তৈরি করেছিলেন। সেখানে কিছু লোক ছিল। কিন্তু এখন যারা ধরা পড়ছে, তারা হচ্ছে ডাইরেক্ট পার্টির লোক। পার্থর সঙ্গে দলের তেমন সম্পর্ক ছিল না। লেনদেন হলে সেটা আলাদা ব্যাপার। বাকি যারা ধরা পরেছে, তারাই আসল কিংপিন। এরা হ্যান্ডলার। এরাই লোক টেনে আনত। এরাই টাকা তুলত। টাকা বিনিয়োগ করত। টাকা পৌঁছে দিত। তথ্য খোঁজা হচ্ছিল। সেই তথ্য সিবিআই–ইডির হাতে এসেছে। আমার মনে হয় এবার রাস্তা পুরোপুরি খুলে যাবে।’
কাকু যে কোম্পানিতে কাজ করতেন তার জন্যই জড়িয়ে গেলেন? বুধবার সকালে নিউটাউন ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে আসেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ। অন্যদিকে একই সুরে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘সেই কোম্পানির নাম অনেক আগেই এসেছে। নামেই কোম্পানি। টাকার লেনদেন হতো। সেখানে যারা কর্মী, তারাই হ্যান্ডলার। সেই প্রমাণগুলি একে একে সামনে আসছে। অনেকদিন ধরে খেলিয়ে এবার মাছ তুলছে সিবিআই।’
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup