মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন তাঁর দিদিরা। সে নিজেও পড়াশোনা করতে গিয়ে সুবিধা পাচ্ছে। তাই এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানাতে মালদহ থেকে আসছে আট বছরের মেয়ে সায়ন্তিকা দাস। সাইকেলে করে কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে আসার কথা রয়েছে তাঁর। ইতিমধ্যে যাবতীয় প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, মালদহের ইংরেজবাজার থানার মনস্কামনা পল্লীর বাসিন্দা সায়ন্তিকা দাস। সায়ন্তিকা বিভূতি ভূষণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী। তাঁর বাবা প্রদীপ দাস পেশায় একজন গাড়ি চালক। আর্থিক অনটনের মধ্যে তাঁদের সংসার চলে। সায়ন্তিকা স্কুলে ভর্তি হয়ে বিনা পয়সায় স্কুল ড্রেস, বিনা পয়সায় স্কুলের বই পাচ্ছে। এদিন সায়ন্তিকা জানান, ‘মেয়েদের শিক্ষার জন্য এতকিছু হচ্ছে, সেজন্য আমি মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। সাইকেল করে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যাব। চার দিন সময় লাগবে।’ মুখ্যমন্ত্রীর জন্য সায়ন্তিকা আমসত্ত্ব ও গোলাপ উপহার নিয়ে যাচ্ছে সায়ন্তিকা। সায়ন্তিকা আরও জানান, ‘দিদিকে কখনও সামনা সামনি দেখিনি। কিন্তু টিভিতে দেখেছি। মেয়েদের জন্য যেহেতু এত কাজ হয়েছে, তাই মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।’
সায়ন্তিকার এই যাত্রা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তাঁর মা জানান, ‘আমি যখন পড়াশোনা করেছিলাম, তখন আমি কোনও সাহায্য পাইনি। আমি যখন আমার বড় মেয়েদের পড়াচ্ছিলাম, তখন আমার আর্থিক অবস্থা সংকটে যাচ্ছিল। মমতাদি যখন কন্যাশ্রী, রূপশ্রী আনল, তখন আমার শুনে খুব ভালো লেগেছে। এই সব প্রকল্পের সুবিধা পেয়ে আমার দুই মেয়ে অনেকটাই এগিয়ে গেছে। এক মেয়ে এম এ পড়ছে, আরেক মেয়ে বি এ সেকেন্ড ইয়ার।’