সপ্তাহের মাঝেই ফের ট্রেনে বড় ভোগান্তির আশঙ্কা। একাধিক ট্রেনকে বাতিল করা হল। মূলত প্রভাব পড়ছে দূরপাল্লার ট্রেনের উপর। সব মিলিয়ে কার্যত আকাশ ভেঙে পড়েছে যাত্রীদের মাথায়। কীভাবে সামলানো যাবে তা নিয়ে কিছুতেই বুঝে উঠতে পারছেন না তাঁরা।
সূত্রের খবর, কুর্মি আন্দোলনের জেরে দক্ষিণপূর্ব শাখায় একাধিক ট্রেন বাতিল করা হচ্ছে। একেবারে সপ্তাহের মাঝপথেই ট্রেন বাতিল। এনিয়ে সোমবার রাতে রেলের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে। কাল বুধবার অর্থাৎ ২০ সেপ্টেম্বর রেলের দক্ষিণ পূর্ব শাখায় একাধিক ট্রেন বাতিলের ঘোষণা। কুর্মি আন্দোলনের জেরে এই ট্রেন বাতিলের ঘোষণা। মনে করা হচ্ছে দূরপাল্লার ট্রেন মাঝপথে দাঁড়িয়ে যেতে পারে এই আশঙ্কায় একাধিক ট্রেনকে আগাম বাতিল করা হয়েছে। তবে এই ঘোষণার জেরে মারাত্মক সমস্যায় সাধারণ যাত্রীরা। কারণ তাঁদের পক্ষে গন্তব্যে পৌঁছনটাই এখন মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াল।
তবে ১৯ সেপ্টেম্বর রাত থেকেই ট্রেন চলাচলে বিঘ্ন ঘটতে পারে। রাতে অন্তত ৭টি ট্রেন বাতিল থাকবে বলে খবর। সেগুলি হল সেকেন্দ্রাবাদ-দ্বারভাঙা এক্সপ্রেস, কাটিহার-টাটানগর এক্সপ্রেস, লোকমান্য তিলক -কামাখ্যা এক্সপ্রেস, কামাখ্যা-রাঁচি এক্সপ্রেস, গোরক্ষপুর-হাতিয়া মৌর্য এক্সপ্রেস, রাজেন্দ্রনগর-দুর্গ দক্ষিণ বিহার এক্সপ্রেস, রক্সৌল-সেকেন্দ্রাবাদ স্পেশাল এক্সপ্রেস বাতিল থাকবে।
এখানেই শেষ নয়। ২০ সেপ্টেম্বর বুধবার ভাগলপুর রাঁচি বনাঞ্চল এক্সপ্রেস ও গোড্ডা টাটানগর এক্সপ্রেস বাতিল থাকবে বলে সূত্রে খবর।
তবে এবারই প্রথম নয়, কুর্মি আন্দোলনের জেরে এর আগেও রেলের চাকা থমকে গিয়েছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা জুড়ে কুর্মি আন্দোলনকারীরা রেললাইনের উপর বসে পড়েছেন। নানা আলোচনাতেও কাজ হয়নি। গোটা রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা অতীতে কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। তবে এবার আগাম ট্রেন বাতিলের কথা ঘোষণা করল রেল।
এতে সুবিধা একটাই হবে যে আগাম এনিয়ে খবর পেয়ে গেলেন রেলযাত্রীরা। সেই মতো তাঁরা তাঁদের সফরসূচি বদলাতে পারেন। অথবা বিকল্প কোনও পথে গন্তব্যে যাওয়ার চেষ্টা করতে পারেন। তবে জার্নি করার আগে কোন কোন ট্রেন বাতিল সেটা রেলের নিজস্ব নোটিশ দেখে মিলিয়ে নিন।