রাত পোহালেই শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদ নির্বাচন। ভোটগ্রহণ যাতে নির্বিঘ্নে হয় তার সমস্ত ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন। শনিবার সকাল থেকে মাটিগাড়ি ডিসিআরসি থেকে একে একে ভোট কর্মীরা বিভিন্ন ভোটগ্রহণকেন্দ্রের দিকে রওনা দেন। গোটা এলাকায় পুলিশি টহলদারি চলছে।
সূত্রের খবর এবার শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের আওতায় ২২টি গ্রাম পঞ্চায়েতে রয়েছে ৪৬২টি আসন। ৪টি পঞ্চায়েত সমিতিতে রয়েছে ৬৬টি আসন। সব মিলিয়ে ৬৫৭টি ভোটগ্রহণকেন্দ্র করা হয়েছে। মোট ভোটারের সংখ্যা ৫২,৭৯,৮৩জন।
অশান্তি এড়াতে শুক্রবার থেকেই বর্ডার সিল করে দেওয়া হয়েছে।প্রতিটি ভোটগ্রহণকেন্দ্রে সশস্ত্র পুলিশ থাকবে।
রাজনৈতিক মহলের মতে, বিগতদিনে শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদ বামেদের দখলে ছিল। পরে ধাপে ধাপে সেই মহকুমা পরিষদ বামেদের হাতছাড়া হয়। তবে এবার শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদ নির্বাচন বিজেপি ও বাম উভয়ের কাছেই কার্যত চ্যালেঞ্জের। তবে কংগ্রেস এখন অনেকটাই ক্ষয়িষ্ণু।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, শিলিগুড়ি ও সংলগ্ন এলাকায় বিজেপি গত বিধানসভাতেও কিছুটা প্রভাব ফেলেছিল। কিন্তু এখনও সেই প্রভাব তারা ধরে রাখতে পেরেছে কি না সেটাই দেখার। অন্যদিকে বামেদের জমি কতটা অবশিষ্ট আছে সেটাও পরখ করে দেখা যাবে এবারের নির্বাচনে। তবে ঘাসফুল শিবিরের দাবি, গ্রামীণ এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। তার সুফল ঘরে তুলবে শাসকদল।
তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, তৃণমূলের কাছে গলার কাঁটা এবার নির্দলরা। বিজেপি নয়, একদিকে বাম ও অপরদিকে নির্দলদের বিরুদ্ধে ব্যাট করতে হবে শাসকদলকে।
এদিকে শিলিগুড়ি ও সংলগ্ন এলাকায় টানা বৃষ্টি শুরু হয়েছে। সেক্ষেত্রে রবিবার আকাশ কতটা ভালো থাকবে সেদিকেও তাকিয়ে রয়েছেন অনেকেই। নীচু এলাকায় জল জমে গেলে সমস্যা দেখা দেবে।