বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > সিঙুরে ক্ষতিপূরণ নিয়েছিলেন ৮২ শতাংশ জমিদাতা, দাবি গণশক্তির প্রতিবেদনে

সিঙুরে ক্ষতিপূরণ নিয়েছিলেন ৮২ শতাংশ জমিদাতা, দাবি গণশক্তির প্রতিবেদনে

সিঙুরে টাটা প্রকল্পের পতিত জমি।

সিঙুরে জমি অধিগ্রহণের ব্লক অফিসে থাকা তথ্য তুলে ধরে ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ২০১৬ সালে জমি ফেরত দেওয়ার সময় প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে টাটা প্রকল্পের ৮২ শতাংশ জমিদাতা ক্ষতিপূরণের চেক নিয়েছিলেন।

সিঙুরে জোর করে জমি দখল করেছিল ওরা। আমরা সেই জমি ফিরিয়ে দিয়েছি। শিলিগুড়িতে মমতার এই মন্তব্য তথ্য দ্বারা প্রতিষ্ঠিত নয় বলে দাবি করা হয়েছে সিপিএমের মুখপত্র গণশক্তিতে। শুক্রবার গণশক্তির প্রথম পাতায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে সিঙুরের ৮২ শতাংশ জমির মালিকই ক্ষতিপূরণ নিয়েছিলেন বলে জানানো হয়েছে।

সিঙুরে জমি অধিগ্রহণের ব্লক অফিসে থাকা তথ্য তুলে ধরে ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ২০১৬ সালে জমি ফেরত দেওয়ার সময় প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে টাটা প্রকল্পের ৮২ শতাংশ জমিদাতা ক্ষতিপূরণের চেক নিয়েছিলেন। চেক নেননি ১৯.৮৯ শতাংশ জমিদাতা। মোট ৩,৫৩৫টি প্লটের জন্য ক্ষতিপূরণ নির্ধারিত হয়েছিল। মোট ক্ষতিপূরণের পরিমান ছিল ১১৮ কোটি ৯৫ লক্ষ টাকা। তার মধ্যে ৯০ কোটি ৮৭ লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণ বিলি করা হয়ে গিয়েছিল। এছাড়া বর্গাদাররা ৪৩ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ নিয়েছিলেন।

সরকারি কর্মীকে বেঁধে রাখা হল রেললাইনে, ট্রেনে কাটা গেল পা, কেতুগ্রামে শিহরণ

সিঙুর আন্দোলনের অন্যতম নেতা মহাদেব দাস গণশক্তির প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, ৭৫ শতাংশ জমির মালিক ক্ষতিপূরণ গ্রহণ করেছিলেন। ২৫ শতাংশ করেননি। তিনি বলেন, ‘আমার নিজের জমি ৩ বিঘা। পরিবারের মোট ১০ বিঘা জমি রয়েছে টাটা প্রকল্পের ভিতরে। তার এক ছটাকও চাষযোগ্য হয়নি।’ যদিও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ছিল জমি চাষযোগ্য করে দিতে হবে। মহাদেববাবু বলেন, ‘সামান্য কিছু জমি যেখানে গাঁথনি হয়নি সেখানে চাষ হচ্ছে। বাকি জমি পড়েই রয়েছে।’ সঙ্গে তাঁর চাঞ্চল্যকর দাবি, ‘৬ বছর পর এখনও অনেকে জমির কাগজ পাননি। অনেক জমি চিহ্নিতই হয়নি।’

 

বন্ধ করুন