রাজনৈতিক মহলের মতে, রাজনৈতিক স্থায়িত্ব নেই তাঁর। বারবারই দলবদল করছেন তিনি। শেষ বিধানসভা ভোটে তিনি জিতেছিলেন বাম টিকিটে। তারপরই দল পালটে চলে আসেন তৃণমূল কংগ্রেস। আর এবার চলে গেলেন বিজেপিতে। হ্যাঁ, তিনি চর্চিত দীপালি বিশ্বাস। যিনি মেদিনীপুরে অমিত শাহের মঞ্চে উঠে বিজেপির পতাকা হাতে নেওয়ার পরে গাজলে তৃণমূল পার্টি অফিসে বাজি ফাটানোর খবর মিলেছে।
স্থানীয় মানুষের প্রতিক্রিয়া, বাম আমলে নানা অভিযোগের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে তৃণমূলকে ভোট দেওয়া হয়েছিল। গত লোকসভা ভোটে তৃণমূল আমলের নানা অভিযোগের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে ভোট দেওয়া হয়েছে বিজেপিকে। এবারে মুখগুলোই যদি বাম থেকে তৃণমূল হয়ে গেরুয়া শিবিরে ঢুকে পড়ে তাহলে অন্যায়ের প্রতিকার হবে কী?
উল্লেখ্য, জলপাইগুড়ি জেলার এক বিধায়ক বাম দলের হয়ে রেকর্ড ভোটে জিততেন। ২০১১ সালে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পরে তৃণমূলে যোগ দিলেন। গত বিধানসভায় তৃণমূল তাঁকে ফের টিকিট দেয় এবং সেবারও রেকর্ড ভোটে জেতেন তিনি। কিন্তু লোকসভা ভোটের নিরিখে তাঁর আসনটিতে তো গো-হারা হেরেছে তৃণমূল। বিধানসভা ভোটের আগে সুর বদলেছেন সেই বিধায়ক। ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর থেকে জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে তোপ দাগছেন।
শনিবার অমিত শাহের সভায় কিন্তু এক দীপালি ছাড়া এই কাহিনীর বেসুরো গায়কেরা কেউ ছিলেন না। তবে কি ভাঙন আরও বাড়বে? এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কারণ অনেকেই বেসুরো গাইতে শুরু করেছেন। মিহির গোস্বামী, দীপালি বিশ্বাসদের মতো আরও কতজন এই পথে হাঁটতে পারেন, তার হিসেব করছে তৃণমূল নেতৃত্ব। সেই বুঝেই উত্তরের সংগঠন সাজানো হবে।