নিয়োগ দুর্নীতির অন্যতম কুশীলব বাগদার তৃণমূল নেতা চন্দন মণ্ডলের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করল ইডি। সমন জারি সত্বেও হাজিরা না দেওয়ায় এবার তার বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিশ জারি করলেন ইডির গোয়েন্দারা। বাগদার প্রাক্তন বিধায়ক উপেন বিশ্বাসের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে চন্দনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে ইডি। এর পর অভিযুক্তের বাড়িতে তল্লাশি চালান কেন্দ্রীয় সংস্থার গোয়েন্দারা। তাকে বারবার হাজিরা দেওয়ার জন্য নোটিশ জারি করেন তাঁরা। কিন্তু আজ পর্যন্ত ইডির সামনে হাজিরা দেননি চন্দন মণ্ডল।
ইডি সূত্রে দাবি, নিয়োগ দুর্নীতির গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রয়েছে চন্দনের কাছে। তাই তাকে জেরা করা একান্ত প্রয়োজন। একথা জানিয়ে শেষবার গত ২৭ ডিসেম্বর চন্দনের বাগদার বাড়িতে নোটিশ সাঁটিয়ে আসেন ইডির তদন্তকারীরা। তাঁকে ৩০ ডিসেম্বর সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু সেদিনও হাজিরা এড়ান তিনি। এর পরই ইডির তরফে কড়া পদক্ষেপ করা হবে বলে অনুমান করা হচ্ছিল।
সোমবার চন্দনের বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিশ জারি করে ইডি। এর ফলে তিনি আর দেশ ছাড়তে পারবেন না। চন্দনের অবস্থান জানার চেষ্টাও চালাচ্ছেন গোয়েন্দারা।
এই নিয়ে বাগদার প্রাক্তন বিধায়ক দুলাল বর বলেন, ‘কত জনের নাম বলব? চন্দনকে টাকা দিয়ে বাগদার সব গ্রামেই ২ জন করে চাকরি পেয়েছেন।’
বলে রাখি, ইউটিউবে ভাইরাল এক ভিডিয়োয় এই চন্দনকেই রঞ্জন বলে উল্লেখ করেছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা প্রাক্তন সিবিআই কর্তা উপেন বিশ্বাস। এর পর আদালতে গিয়েও সেকথা জানান তিনি। তদন্তের স্বার্থে সিবিআইকে তিনি সব রকম সাহায্য করতে রাজি বলে জানান উপেনবাবু।