রাজ্যের বাকি পুরসভাগুলোতে খুব তাড়াতাড়িই ভোট হবে বলে ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এরই মধ্যে পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি পুরসভায় আরও একটি দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত শুরু হয়েছে। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, নবান্নের নির্দেশে জেলার অতিরিক্ত জেলা শাসক এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই কমিটি দুর্নীতির তদন্ত করছে। দুর্নীতিতে কাঁথি পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান তথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সৌমেন্দু অধিকারীর দিকে অভিযোগের আঙুল উঠছে। তার সময়কার বিভিন্ন নথি যাচাই করা হচ্ছে। আর তাতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, শুভেন্দু অধিকারী পরিবহণ মন্ত্রী থাকার সময় কাঁথি পুরসভাকে হাই মাস্ট লাইট লাগানোর জন্য প্রচুর পরিমাণে অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছিল। তাছাড়া, কাঁথিকে গ্রীন সিটি করার জন্যও অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছিল। কিন্তু, দেখা যায় যে অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছিল তার চেয়ে কম সংখ্যক আলো লাগানো হয়। এমনকি গ্রীন সিটি প্রকল্প বাস্তবায়ন না করে বরাদ্দ করা অর্থ তুলে নেওয়া হয়েছিল। সেই সমস্ত নথি খতিয়ে দেখছে তদন্ত কমিটি।
পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক জানিয়েছেন, কাঁথি পুরসভায় অনিয়মের অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্ত করা হচ্ছে। সমস্ত নথি চেয়ে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে পুরসভার পক্ষ থেকে সব রকম ভাবে সহায়তা করা হচ্ছে বলে পুরসভার এক আধিকারিক জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, যে সময় এই সমস্ত দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে সেই সময় কাঁথি পুরসভার পুর প্রধান ছিলেন সৌমেন্দু অধিকারী। ফলে স্বাভাবিকভাবেই অভিযোগের আঙুল সৌমেন্দুর দিকে।
বিধানসভা ভোটের আগে দাদা শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন সৌমেন অধিকারী। তারপরেই শুভেন্দু অধিকারী এবং সৌমেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণে সক্রিয় হয়েছে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই কাঁথি পুরসভায় ত্রিপল চুরির মামলা চলছে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে। এছাড়া আরও একাধিক অভিযোগ উঠেছে দুই নেতার বিরুদ্ধে।