দু’দিন আগেই একজনকে আল–কায়দা জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতার করেছিল এসটিএফ। এবার আজ, শনিবার জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হল আর একজন ব্যক্তিকে। আজ হাওড়া স্টেশন থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে রাজ্য পুলিশের এসটিএফ। অভিযুক্ত হাওড়া স্টেশন থেকে ট্রেনে চেপে ভিনরাজ্যে পালিয়ে যাওয়ার ছক কষেছিল বলে মনে করছেন পুলিশ অফিসাররা। এই ব্যক্তি আসলে কোচবিহারের বাসিন্দা। তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি দণ্ডবিধির কয়েকটি ধারা ছাড়াও ইউপিএ ধারায় মামলা দায়ের করা হচ্ছে। আজই তাকে আদালতে পেশ করা হচ্ছে বলে খবর।
এসটিএফ সূত্রে খবর, আজ শনিবার নান্নু মিঞা নামে ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অনেকদিন ধরেই জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত এই ব্যক্তি। তার নাম মিলেছিল অন্যদের গ্রেফতার করার পরই। বাড়ি কোচবিহারের দিনহাটায় হওয়ায় সীমান্তবর্তী এলাকায় জঙ্গি কার্যকলাপ করত। ২০২২ সালের অগস্ট মাসে দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে জঙ্গিদের কাজকর্ম সংক্রান্ত একটি মামলার তদন্ত করা হচ্ছিল। তখন এসটিএফের কাছে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য উঠে আসে। তখন নান্নু মিঞার নাম উঠে আসে। এই নান্নুর সঙ্গে বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের যোগসাজশ রয়েছে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শনিবার সকালে হাওড়া থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এদিকে এই ব্যক্তির বিষয়ে বেশ কিছু তথ্য পাওয়া যায়। তারপরই অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি শুরু করা হয়। আজ, শনিবার সকালে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে হাওড়া স্টেশনে অভিযান চালায় রাজ্য এসটিএফ। তখনই হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয় নান্নু মিঞাকে। ইউএপিএ’র ধারা–সহ ভারতীয় ফৌজদারি আইনের বেশ কয়েকটি ধারায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এখন তাকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান গোয়েন্দারা।
অন্যদিকে আল–কায়দা এবং বাংলাদেশের জঙ্গিগোষ্ঠীগুলির সঙ্গে কাজ করত নান্নু। এদেশের তথ্য তথা বাংলার তথ্য–ছবি পাঠিয়ে দেওয়া হতো জঙ্গি সংগঠনকে। তারপর নির্দেশ অনুযায়ী এখানে অপারেশন চালানো হতো। সীমান্তবর্তী এলাকায় বসবাসের সুযোগ নিয়ে সীমান্তে জঙ্গি কার্যকলাপে জড়িয়ে ছিল সে। কয়েকদিন আগে হুগলি থেকে এক যুবককে জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তার কাছ থেকে দিনহাটার বাসিন্দা নান্নুর নাম হাতে পায় এসটিএফ বলে সূত্রের খবর। বাংলাকে সেফ করিডর করে পাচারের কাজে যুক্ত ছিল এই নান্নু। তবে সে হাওড়া থেকে কোথায় যাচ্ছিল? সেটা জানতে চায় এসটিএফ।