এবার ছাত্রীদের দিয়ে দুয়ারে সরকার প্রকল্পে ক্যাম্প চালানোর অভিযোগ উঠল। ঘটনাটি ঘটেছে কাঁথির ১ নম্বর ব্লকে। সেখানে স্কুলের ছাত্রীদের ফর্ম ফিলআপে সাহায্য করার কাজে লাগানো হচ্ছে। করোনা আবহে এই ধরনের ঘটনা সামনে আসতেই বিতর্ক দানা বেঁধেছে।
করোনা আবহে দেড় বছর ধরে স্কুল কলেজ বন্ধ। এই পরিস্থিতিতে স্কুলে আসার কোনও কথাই নয় পড়ুয়াদের। কিন্তু পড়ুয়াদের স্কুলে আসতে হয়েছে। তাও আবার রবিবার ছুটির দিনে। রবিবার কাঁথির ১ নম্বর ব্লকে দুয়ারে সরকারের ক্যাম্প ছিল। সেই দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে ফর্ম পূরণের কাজে সাহায্য করতে হাজির স্কুলের ছাত্রীরা। কাঁথি ১ নম্বর ব্লকের বিডিও অফিসের অফিসিয়াল হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপে বেশ কিছু ছবি এসেছে। তাতে দেখা গিয়েছে, চন্দনপুর বীরেন্দ্র শিক্ষাভবন ও সাতমাইল হাইস্কুলের ছাত্রীদের দিয়ে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের ফর্ম পূরণের কাজ করানো হচ্ছে। রীতিমতো স্কুলের পোশাক পরে ফর্ম পূরণের কাজে সাহায্য করছেন ছাত্রীরা। গত রবিবার এই দুয়ারে সরকার ক্যাম্পকে ঘিরে প্রচুর মানুষ লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন। লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষদের ফর্ম পূরণে সবরকম সাহায্য করছেন ছাত্রীরা।
শুধু তাই নয়, নিজেদের এই কাজের ছবি তুলে হোয়াটস অ্যপে ছড়িয়ে দিয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত ছাত্রীরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ছাত্রী জানান, ‘সরকারি কাজে সাহায্য করতে হবে, এই কথা বলেই আমাদের ক্যাম্পে আনা হয়।’ তবে সরকারি প্রকল্পে ছাত্রীদের দিয়ে এভাবে শিবিরের আয়োজন করায় বিতর্ক তৈরি হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, ছাত্রীদের কি এভাবে প্রশাসনিক কাজে ব্যবহার করা যায়? সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, করোনার তৃতীয় ঢেউ যে কোনও মুহূর্তে আছড়ে পড়তে পারে। সরকারের এই বিষয়ে নজর রয়েছে। এর ওপর নির্ভর করেই স্কুল খোলা হবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হতে পারেন শিশু, নাবালক–নাবালিকারা। সেই কারণে সরকারও দেখেশুনে স্কুল খোলার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে চাইছে। এই পরিস্থিতিতে স্কুলের ছাত্রীদের দুয়ারে সরকারের ক্যাম্পে ব্যবহার করা জেলা প্রশাসনকেই অস্বস্তিতে ফেলল বলে ওয়াকিবহাল মহলের মত।