এতদিন নানা বিষয় নিয়ে মুখ খুলতেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। সেই কুণাল ঘোষ এবার মুখ খুললেন সন্দেশখালিতে এনএসজি অভিযান নিয়েও। শেখ শাহজাহানের এক ঘনিষ্ঠের বাড়িতে শুক্রবার হানা দেয় এনএসজির কমান্ডোরা। তাদের বম্ব ডিজপোজাল স্কোয়াড নামে অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে। গোটা দেশ এদিন তাকিয়ে ছিল এই অভিযানের দিকে। আর এসবের মধ্য়েই এনিয়ে মুখ খুললেন কুণাল ঘোষ।
এনএসজি। যে ফোর্সের জন্য গোটা দেশ গর্বিত, যে এলিট ফোর্সকে বার বার দেখা যায় যখন সংকটে পড়ে দেশ। আর সেই এনএসজি অভিযান নিয়ে নাম না করে প্রশ্ন তুললেন কুণাল ঘোষ।
কুণাল এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, 'সন্দেশখালি ইস্যু জিইয়ে রাখার জন্য পরিকল্পিত চক্রান্তে অতিনাটকীয় কাজকর্ম করে ভোট প্রভাবিত করার চেষ্টা হচ্ছে দিল্লির তরফে। আগাম সাজানো নাটক মঞ্চস্থ হচ্ছে। খবর ছড়িয়ে, যন্ত্র নামিয়ে বাজার গরম করছে। পুলিশের আরও সতর্ক থাকা দরকার। '
এর আগেও সন্দেশখালির মহিলারা কেন মুখ ঢেকে অভিযোগ করছেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন কুণাল ঘোষ। সেই কুণাল ঘোষ এবার মুখ খুললেন নাম না করে এনএসজি অভিযান নিয়ে।
তবে বিশ্বের অন্য়তম শ্রেষ্ঠ ফোর্স এনএসজি। তাদের অভিযানকে নাম না করে কটাক্ষ কতটা যুক্তিযুক্ত, এই কটাক্ষের মাধ্য়মে কাদের প্রশয় দেওয়ার চেষ্টা করছেন তৃণমূল নেতৃত্ব সেই প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে।
তবে এনিয়ে এবার কুণাল ঘোষকে নিশানা করে তীব্র কটাক্ষ করলেন বিজেপির রাজ্য় সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
সুকান্ত বলেন, ‘আমি আর শুভেন্দু পিঠে বোঝা নিয়ে গিয়েছিলাম। দিলীপ ঘোষ আগে থেকে গর্ত খুঁড়ে রেখেছিল। রাহুল সিনহা টর্চ ধরেছিল। আর সুকান্ত-শুভেন্দু একটা একটা করে অস্ত্র রেখেছিলাম ওখানে। আর পাশ থেকে লুকিয়ে দেখছিল কুণাল ঘোষ। ’
তীব্র আক্রমণ তৃণমূলকে। একাধিক বিদেশি অস্ত্র, গুলি উদ্ধার করা হয়েছে ওই ডেরা থেকে। একাধিক পরিচয়পত্রও মিলেছে। সেই সঙ্গেই একাধিক গুলিও মিলেছে। সব মিলিয়ে প্রশ্ন উঠছে কারা এখানে রাখল অস্ত্র। বিদেশি অস্ত্র এসে গেল সন্দেশখালিতে। আর জানতেই পারল না পুলিশ? আর সেই অস্ত্র যখন উদ্ধার করল এনএসজি তখনই তা নিয়ে রে রে করে উঠছেন কুণাল ঘোষ।
সন্দেশখালির বেতাজ বাদশা ছিলেন শেখ শাহজাহান। ইডি তার বাড়িতে অভিযানে গেলে সেই ইডি আধিকারিকদের উপরই হামলা চালানো হয়েছিল। এবার সেই শাহজাহান ঘনিষ্ঠের ডেরায় এবার এনএসজি অভিযান।