বাম আমলে কঙ্কাল কাণ্ডে জড়িয়েছিল তাঁর নাম। তার জেরে জেল–জরিমানা সবই হয়েছিল তাঁর। তারপর জামিনে ছাড়া পান তিনি। কিন্তু জেলায় ফিরতে পারছিলেন না তিনি। এবার অবশ্য তিনি জেলায় নিজের এলাকা গড়বেতায় ফিরতে পারবেন। হ্যাঁ, তিনি বাম জমানার প্রাক্তন পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়নমন্ত্রী সুশান্ত ঘোষ। দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুশান্ত ঘোষকে গড়বেতায় ফেরার অনুমতি দিয়েছে বলে খবর। তিনি এলাকায় ফিরলে ফের অশান্তি হতে পারে বলে অভিযোগ করেছিল রাজ্য সরকার। সেই অভিযোগের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে আবেদন করেন তিনি। তখন রাজ্যের আবেদন খারিজ করে নিজের জেলায় ফেরার নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট।
দলীয় সূত্রে খবর, ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে নিজের জেলায় যেতে পারেন প্রাক্তন মন্ত্রী গড়বেতার সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়ক সুশান্ত ঘোষ। তখন তিনি সেখানে বিশ্রাম নেবেন। ২০১১ সালে বেনাচাপড়া কঙ্কালকান্ডে গ্রেফতার হন তিনি। ২০১২ সালে জামিন পেলেও জেলায় ঢোকার ছাড়পত্র দেয়নি আদালত। সুপ্রিম কোর্ট অনুমতি দিল এই দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতাকে।
সুতরাং ৮ বছর পর নিজের বাড়ি ফিরতে চলেছেন সুশান্ত ঘোষ। তবে এই বিষয়ে এখনই মুখ খুলতে নারাজ সুশান্ত ঘোষ। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, জেলায় নিজের বাড়ি গড়বেতায় ফিরতে পারব বলে নির্দেশ দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। উল্লেখ্য, গত সেপ্টেম্বর মাসে তিন মাসের জন্য এই ডাকাবুকো নেতাকে সাসপেন্ড করেছে সিপিএম। সেই শাস্তি এখনও বহাল রয়েছে।
জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার পর দলের সঙ্গে সম্পর্ক বিচ্ছেদ করে বই লেখার কাজে হাত দেন তিনি। ‘বামফ্রন্ট জমানার শেষ দশ বছর’ শীর্ষক একটি বই লিখে পার্টির অন্দরে বিতর্কে জড়ান। তাঁর বিরুদ্ধে দল বিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগ ওঠে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা কমিটি তাঁকে বহিস্কারের সুপারিশ করে রাজ্য কমিটির কাছে। এরপরই কেন্দ্রীয় কমিটির দুই সদস্য রামচন্দ্র ডোম ও আভাস রায়চৌধুরির উপর তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। গঠিত হয় কমিশন। কমিশনের রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে সুশান্ত ঘোষকে দোষী সাব্যস্ত করে দল। তখন তাঁকে তিন মাসের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছিল।