তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক। সিবিআইয়ের টিম পৌঁছে গিয়েছে তার বাড়ি। চলছে চাকরি দুর্নীতির খোঁজ। দুপুর থেকে তার বাড়িতে, বিধায়ক কার্যালয়ে তল্লাশি চলছিল। তবে রাতে সিবিআই বাড়ির পাশেই আম্বেদকর কলেজে চলে আসে। সেখানে শুরু হয় তল্লাশি। তবে এতসব কিছুর পরে তাপস সাহার একটি ভাইরাল ভিডিয়োকে ঘিরে শোরগোল একেবারে চরমে। সেই ভিডিয়োটি সিবিআইয়ের হাতেও গিয়েছে। সেই মোতাবেক গোয়েন্দারা তাকে প্রশ্ন করেছেন বলেও সূত্রের খবর।
আসলে সেই ভিডিয়োতে দেখা যায় পুকুরের ধারে বসে রয়েছেন বিধায়ক। আর পুকুরে কয়েকজন নেমেছেন। এখানেই প্রশ্ন পুকুরপাড়ে কী করছিলেন তাপস সাহা? কারণ অনেকের দাবি, দুপুর আড়াইটে নাগাদ তাকে পুকুর পাড়ে দেখা যায়। আর বেলা সাড়ে ৩টে নাগাদ সিবিআই তাপসের বাড়িতে যান। তবে কি প্রমাণ লোপাটের জন্য পুকুর পাড়টিকে বেছে নিয়েছিলেন তাপস সাহা?
তবে এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা। তবে সবথেকে রহস্যজনক বিষয় হল ওই পুকুর পাড়ে একটি জায়গা পাওয়া গিয়েছে যেখানে বোঝা যাচ্ছে কিছু কাগজপত্র পোড়ানো হয়েছিল। আর সেই পোড়া জায়গার উপরই পড়ে রয়েছে একটি কাগজ। সেখানে আবার তাপস সাহার নাম।
এদিকে মুর্শিদাবাদের বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবন কৃষ্ণ সাহাও তল্লাশির সময় দুটি মোবাইল সোজা ছুঁড়ে দিয়েছিলেন পাশের পুকুরে। কিন্তু অত সহজে ছাড়বার পাত্র নয় সিবিআইও। প্রায় সাড়ে ৩৮ ঘণ্টা তল্লাশির পর পুকুরের পাশে রাখা পাঁক থেকে উদ্ধার হয় প্রথম ফোন। আর দ্বিতীয় ফোনটি ৬৬ ঘণ্টা পরে উদ্ধার করা হয়। একেবারে জেসিবি নিয়ে এসে পুকুরের পাঁক তুলে ফেলেছিল সিবিআই।
তবে শুক্রবার অবশ্য তাপস সাহার বাড়িতে গিয়ে কোনও ঝুঁকি নেননি সিবিআই গোয়েন্দারা। দ্রুত তারা তাপস সাহার ফোনটি তাঁর কাছ থেকে নিয়ে নেন। তিনিও যদি পুকুরে ফেলে দেন। তবে তার মধ্যেই সামনে আসে নয়া তথ্য। সেখানে দেখা যাচ্ছে সিবিআই আসার আগেই পুকুর পাড়ে বসেছিলেন তৃণমূলের বিধায়কও। তবে কি পথ দেখিয়েছেন জীবনকৃষ্ণ? আর সেই পথেই কি হাঁটার চেষ্টা করলেন তাপস সাহাও? তিনিও কি প্রমাণ লোপাটের জন্য সেই পুুকুরকেই ব্যবহার করলেন? কী পোড়ানো হয়েছিল ওখানে? সবটা দেখছে সিবিআই। এখানেও কি পুকুরের জল ছেঁচে ফেলা হবে? সময় গড়ালেই জানা যাবে উত্তর।
তাপস সাহার আপ্ত সহায়ক প্রবীর কয়ালের বাড়িতেও তল্লাশি চালাচ্ছে।