তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলে রক্তারক্তি কাণ্ড বাঁধল তারকেশ্বরে। অভিযোগ, রবিবার সন্ধ্যায় তৃণমূলেরই একটি গোষ্ঠী স্থানীয় এক পঞ্চায়েত সদস্যকে এলোপাথাড়ি কোপায়। আহত সইদুল মোল্লাকে কলকাতার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অপর গোষ্ঠীর দাবি, পার্টি অফিস দখলে বাধা দেওয়ায় তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় সইদুল। গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়েছে। এই ঘটনায় রবিবার রাতে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে তারকেশ্বরের পিয়াসারা বাজার। এলাকায় মোতায়েন রয়েছে প্রচুর পুলিশকর্মী।
নাইটা মাল্লারপুর পঞ্চায়েতের তৃণমূলি সদস্য সইদুল মোল্লার দাবি, রবিবার বিকেলে পিয়াসারা বাজারে তৃণমূলের পার্টি অফিসের সামনে চায়ের দোকানে বসে ছিলেন তিনি। তখন স্থানীয় এক ব্যবসায়ীর অনুগামী তৃণমূলকর্মীরা এসে তাঁকে কোপাতে শুরু করেন। কোপ লাগে ঘাড়ে, হাতে ও দেহের বিভিন্ন জায়গায়। চায়ের দোকানের ভিতরে ঢুকে কোনও ক্রমে আত্মরক্ষা করেন তিনি। এর পর তাঁকে বদ্যিপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে স্থানান্তরিত করা হয় কলকাতায়। সইদুলের শরীরে মোট ৪২টা সেলাই পড়েছে। তাঁর অবস্থা উদ্বেগজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
স্থানীয় তৃণমূল নেতা শেখ মনিরুল জানান, এলাকায় একটি সরকারি জমি দখল করে বসে আছেন ওই ব্যবসায়ী। দলের একাংশ তাঁকে মদত দিচ্ছে। রবিবারই তারকেশ্বরের বিধায়ক রামেন্দ্র সিংহ রায় ওই ব্যবসায়ীর বাড়িতে গিয়েছিলেন। সইদুল মোল্লা সরকারি জমি দখলের বিরোধিতা করায় তাঁকে খুনের চেষ্টা হয়েছে।
তৃণমূলের অপর গোষ্ঠীর দাবি, রবিবার বিকেলে পিয়াসারা বাজারে তৃণমূলের পার্টি অফিস দখলের চেষ্টা করছিলেন সইদুল। তৃণমূল কর্মীরা বাধা দিলে তাদের লক্ষ্য গুলি চালান ওই পঞ্চায়েত সদস্য গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
ঘটনার পর এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। মুহুর্মুহু বোমা গুলি চলে বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে বিশাল পুলিশ বাহিনী পৌঁছয় এলাকায়। সকালে পুলিশের বিরুদ্ধে এলাকায় পোস্টার পড়ে। লাল কালি দিয়ে সাদা পোস্টারে পুলিশের ভূমিকার সমালোচনা করে বেনামি পোস্টার দেখা যায় এলাকাজুড়ে।