বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > কুকুরকে লাথি মারার অপরাধে চা শ্রমিককে মার কারখানার মালিকের ভাইপোর, হল মৃত্যু

কুকুরকে লাথি মারার অপরাধে চা শ্রমিককে মার কারখানার মালিকের ভাইপোর, হল মৃত্যু

চা শ্রমিকের মৃত্যু। প্রতীকী ছবি।

ওই কারখানাতেই কাজ করতেন স্থানীয় বাসিন্দা সুব্রত মণ্ডল। মালিকপক্ষের আয়োজিত খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থায় শামিল হয়েছিলেন তিনি। তবে সেখানে বারবার একটি কুকুর চলে আসায় খেতে গিয়ে বিরক্ত বোধ করছিলেন ওই শ্রমিক। তাই কুকুরটিকে তাড়ানোর জন্য লাথি মেরেছিলেন সুব্রত।

খাবার খাওয়ার সময় বিরক্ত করায় একটি কুকুরকে লাথি মেরেছিলেন চা কারখানার এক শ্রমিক। শুধুমাত্র সেই অপরাধে শ্রমিককে বেধড়ক মারধর করল কারখানার মালিকের ভাইপো। আর তাতেই মৃত্যু হল ওই শ্রমিকের। বিশ্বকর্মা পুজোর রাতে এমনই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটল জলপাইগুড়ি রাহুত বাগান এলাকায়। মারধরের পরেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই শ্রমিককে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। মৃত শ্রমিকের নাম সুব্রত মণ্ডল। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতের সিদ্ধার্থ গান্ধী।

আরও পড়ুন: আর্ত চিৎকার শ্রমিকের, চা বাগানেই ভয়াবহ মরণফাঁদ, পা ফসকে যেতেই সব শেষ

পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিবছর বিশ্বকর্মা পুজো উপলক্ষে চা কারখানার মালিকপক্ষের তরফে শ্রমিকদের জন্য খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। সোমবার রাতেও বিশ্বকর্মা পুজো উপলক্ষে চা শ্রমিকদের জন্য খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা করেছিল মালিকপক্ষ। ওই কারখানাতেই কাজ করতেন স্থানীয় বাসিন্দা সুব্রত মণ্ডল। মালিকপক্ষের আয়োজিত খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থায় শামিল হয়েছিলেন তিনি। তবে সেখানে বারবার একটি কুকুর চলে আসায় খেতে গিয়ে বিরক্ত বোধ করছিলেন ওই শ্রমিক। তাই কুকুরটিকে তাড়ানোর জন্য লাথি মেরেছিলেন সুব্রত। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি,  এই ঘটনার পরেই বেজায় চটে যায় সিদ্ধার্থ গান্ধী। এরপর সে সুব্রত মণ্ডলের উপর চড়াও হয় এবং তাঁকে সজোরে চড় মারে সিদ্ধার্থ। তবে আকস্মিক আঘাত সামাল দিতে পারেনি বছর পঞ্চান্নর সুব্রত মণ্ডল। তার ফলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন এবং অচেতন হয়ে যান।এই ঘটনার পরেই তড়িঘড়ি অন্যান্য শ্রমিকরা তাঁকে উদ্ধার করে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যান। কিন্তু, সেখানে তাঁকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।

হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই ওই শ্রমিকের মৃত্যু হয়। এই ঘটনার জেরে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। অন্যান্য শ্রমিকরা এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানান। একইসঙ্গে অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। এর পাশাপাশি মৃতের পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন অন্যান্য শ্রমিক ও স্থানীয় বাসিন্দারা। একই সঙ্গে সামান্য একটি ঘটনায় এই ধরনের কাণ্ডের তীব্র নিন্দায় সরব হয়েছেন শ্রমিকরা। এই ঘটনায় পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

বন্ধ করুন