কলকাতার পর হাওড়া, জমা জলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঝরল আরেকটা তাজা প্রাণ

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শিবপুরের জিসিআরসি রোড ধরে বাড়ি ফিরছিল স্থানীয় এক নাবালক।

প্রতীকি ছবি

জমা জল এড়িয়ে বাড়ি ফিরতে গিয়ে ফুটপাথের ত্রিফলা বাতিতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল এক নাবালকের। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটে হাওড়ার শিবপুরে। ঘটনার পর যথারীতি তদন্ত তদন্ত খেলা শুরু করেছে CESC. 

মঙ্গলবার দক্ষিণবঙ্গে প্রবল ঝড়বৃষ্টির পর রাজভবনের উত্তর গেটের সামনে তড়িদাহত হয়ে মৃত্যু হয়েছিল তরুণ এক ইঞ্জিনিয়ারের। সেই ঘটনার তদন্ত রিপোর্ট জমা পড়ার আগেই ফের জমা জল আর বিদ্যুতের মারণ মিশেলে CESC-র গাফিলতি মিশে ঝরে গেল আরেকটা তরতাজা প্রাণ। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শিবপুরের জিসিআরসি রোড ধরে বাড়ি ফিরছিল স্থানীয় এক নাবালক। রাস্তায় জল জমে থাকায় ফুটপাথে উঠতে একটি ত্রিফলা বাতির স্তম্ভে হাত দেয় সে। সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় কিশোর। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ১৬ বছর বয়সী ওই নাবালকের। 

ঘটনার পর CESC-কে খবর দেন স্থানীয়রা। তাদের কর্মীরা এসে ত্রিফলা বাতিতে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে কিশোরকে উদ্ধার করেন। কিন্তু কেন অকালে ঝরে গেল প্রাণ? কেন ত্রিফলা বাতি স্তম্ভটি তড়িদাহত হয়ে ছিল? কেন ঝড়বৃষ্টির ৪৮ ঘণ্টা পরেও রাস্তা থেকে নামল না জল। 

CESC-র তরফে জানানো হয়েছে, যে স্তম্ভটি থেকে কিশোর বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েছে সেটির দেখভালের দায়িত্ব পুরসভার। ওদিকে হাওড়া পুরসভার মুখ্য প্রশাসক অরূপ রায় বলেন, তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি। জল নামাতে কাজ চলছিল। তার মধ্যেই এই ঘটনা ঘটেছে।