করোনা অতিমারিতে একেবারে মুখ থুবড়ে পড়েছে পাহাড়ের পর্যটন। পর্যটনের সঙ্গে যুক্ত থাকা ট্যুর অপারেটর থেকে গাড়ি চালক মাথায় হাত পড়েছে সকলেরই। এসবের মধ্য়েই শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং যাওয়ার জন্য শেয়ার গাড়িতে যেতে হলে এবার কার্যত দ্বিগুণ ভাড়া গুনতে হচ্ছে যাত্রীদের। শিলিগুড়ি থেকে অনেকেই শেয়ার গাড়িতে পাহাড়ে যান। তা সে ঘুরতে কিংবা কাজেকর্মে যাই হোক না কেন। এবার সেই গাড়িতে অনেকটাই অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হচ্ছে।
কিন্তু কেন এই অতিরিক্ত ভাড়া চাওয়া হচ্ছে যাত্রীদের কাছ থেকে? পাহাড়গামী গাড়িচালক ও গাড়ির মালিকদের একাংশের দাবি, কোভিড প্রটোকলের জেরে গাড়িতে যাত্রী সংখ্য়া কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। অর্থ্যাৎ ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে গাড়িগুলি পাহাড়ে উঠছে। ধরা যাক যেখানে আগে ৮জন থেকে ১০জন যাত্রী ধরত একটি গাড়িতে সেখানে বর্তমানে ৪-৫জন যাত্রী নিতে বাধ্য হচ্ছেন গাড়ি চালক। কিন্তু তাঁকে একই দূরত্ব অতিক্রম করতে হচ্ছে। এদিকে জ্বালানি তেলের দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধি হয়েছে। এর মধ্যে ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে গাড়ি চালানো কার্যত অসম্ভব। তেলের খরচও উঠবে না। সেকারণেই তেলের খরচ ওঠানোর জন্য ৫০ শতাংশ যাত্রী কম ওঠার ঘাটতিটা, ভাড়া কিছুটা বেশি নিয়ে পুষিয়ে নেওয়া হচ্ছে। সেকারণে ২০০ টাকার ভাড়া বাড়িয়ে ৩৫০-৪০০ টাকাও হয়ে গিয়েছে বলে দাবি যাত্রীদের।
তবে ট্যুর অপারেটর সংস্থার কর্ণধার সম্রাট সান্যাল বলেন, ‘ভাড়া বৃদ্ধি বলাটা ঠিক নয়। যাত্রী সংখ্যা কমিয়ে দেওয়ার জন্য কিছুটা বেশি ভাড়া নিচ্ছেন কিনা খোঁজ নিতে হবে।’ অপর এক গাড়ি অপারেটর জয়প্রকাশ চৌধুরী বলেন, ‘ভাড়া বৃদ্ধি নয়। কোভিড প্রটোকল মেনে ৫০ শতাংশ যাত্রী নেওয়া হচ্ছে। সেকারণে কেউ বেশি ভাড়া চাইতে পারে। না হলে তিনি গাড়িই চালাতে পারবেন না।’