ভাড়া বাড়িয়েই সরকারি আবাসনের সংস্কার করতে চায় পুর দফতর। আবাসনের ফ্ল্যাটগুলির ভাড়া কত হতে পারে তার একটা তালিকা তৈরির জন্য দফতরের আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
পুর দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, সেই তালিকা তৈরি করা হয়েছে। তবে কবে থেকে নতুন ভাড়া চালু হবে তা নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।
এই সময়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মাস তিনেক আগেই ভাড়ার তালিকা তৈরির জন্য পুরদফতর পক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়। সল্টলেকের আবাসনগুলির জন্যই ভাড়ার পুনর্বিন্যাসের বিষয়ে অগ্রসর হয়েছে পুর দফতর।
পুর দফতরের সল্টলেকে পাঁচটি আবাসন রয়েছে। এই পাঁচটি আবাসন হল, বৈশাখী, ফাল্গুনী, বিচিত্রা, শ্রাবণী এবং বনশ্রী। তৈরি হওয়ার পর দীর্ঘদিন ধরে আবাসনগুলির রক্ষণাবেক্ষণ হয়নি।
এই আবাসগুলিতে আয়তনের ভিত্তিতে ৫ ধরনের ফ্ল্যাট রয়েছে। এর মধ্যে ডি টাইপের ফ্ল্যাটের আয়তন ৫৭০ বর্গফুট। যার ভাড়া ১২০০ টাকা। এস টাইপের ফ্ল্যাটের আয়তন ১৩০০ বর্গফুট যারা ভাড়া মাত্র ৪ হাজার টাকা।
অথচ একই আয়তনের ফ্ল্যাটের ভাড়া সল্টলেকে কয়েকগুণ বেশি। ৫৭০ বর্গফুট ফ্ল্যাটের ভাড়া ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা। তাই ভাড়া বাড়িয়ে আবাসনগুলি সংস্কার করতে চায় পুর দফতর।
(পড়তে পারেন। শৌচাগার নির্মাণে ব্যাপক দুর্নীতি, অভিযুক্তদের চার্জশিট দেবে কলকাতা পুরসভা)
এই ভাড়া বাড়ানোর পিছনে দফতরের আরও একটি যুক্তি হল,ভাড়া কম হওয়ার কারণে সরকারি চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পর অনেকেই আবাসন ছেড়ে যেতে চান না। ভাড়া বাড়ানো হলে তাঁরা নিজেরাই অবসরের পর ঘর ছেড়ে দেবেন।
আবাসনের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, তাঁরা ভাড়া বাড়ানোর পক্ষে। তবে শুধু ভাড়া বাড়ালে হবে না, রক্ষণাবেক্ষণের কাজও করতে হবে। পুর দফতরের ফ্ল্যাটগুলির বেহাল দশা নিয়ে বাসিন্দারাও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
তবে কবে নাগাদ ভাড়া বাড়তে পারে তা জানা যায়নি। দফতরের আধিকারিকরা আয়তন অনুযায়ী সল্টলেকের অন্যান্য আবাসনের ভাড়া সঙ্গে তুলনা করে একটি তালিকা তৈরি করেছেন। সেই তালিকা পাঠানো হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসকের অফিসে। এর ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত নেবে দফতর।