যবে থেকে ভোটে দাঁড়িয়েছেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়, পাশে ঢালের মতো দেখা গিয়েছে স্বামী প্রবাল বসুকে। ২০০৭ সালে প্রবাল বসুকে দ্বিতীয় বিয়ে করেছিলেন রচনা। সেই বিয়ে থেকেই জন্ম ছেলে রৌনকের। তবে এই বিয়ে খুব একটা সুখের হয়নি। এক সাক্ষাৎকারে রচনা সাফ জানিয়েছিলেন, ছেলের কথা মাথায় রেখেই ডিভোর্স নেননি তিনি ও প্রবাল। তবে একসঙ্গে থাকেন না তাঁরা। নিজেকে স্ত্রী হিসেবে ‘শূন্য’ও দিয়েছিলেন।
কিন্তু এই প্রবালই ভোটের মঞ্চে ক্রমাগত সঙ্গে দিয়ে চলেছেন রচনাকে। আগামী ২০ মে পঞ্চম দফায় হবে রচনার ভাগ্য পরীক্ষা, অর্থাৎ হুগলী লোকসভা কেন্দ্রের নির্বাচন। তার আগে জমিয়ে প্রচার চলছে। সোমবার প্রবালকে দেখা গেল সাদা রঙের পঞ্জাবিতে। এখানেই শেষ নয়, তাঁর সেই পঞ্জাবির বুকের কাছে তৃণমূলের লোগো। আর রচনার ছবি। রচনা মনোনয়ন দিতে যাওযার সময়, এই পোশাকেই তাঁকে সঙ্গ দেন প্রবাল।
শুধু স্ত্রীর মনোনয়নের সময় পাশে থাকলেনই না, প্রশংসার ফুল ও ঝরালেন। তাঁকে বলতে শোনা গেল, ‘রচনা স্বাধীনচেতা। ও যেটা করে, সেটা নিজের সমস্ত ইচ্ছেশক্তি দিয়ে। আজ পর্যন্ত সব ক্ষেত্রেই ও সাফল্য পেয়েছে। তাই ও ভোটেও সাফল্য পাবে, এই আশা করি। আমাদের কাজ শুধু ওর শুভ কামনা করা, সেটাই করব।’
আরও পড়ুন: বলিউডি ফিল্মি বাড়ির ছেলে, একাধিক পরকীয়ায় নাম জড়ায়, কথা বন্ধ করত বউ, বলুন তো কে
প্রবালকে পাশে পেয়ে উচ্ছ্বসিত রচনা নিজেও। তিনি জানান, ‘শুধু প্রবাল নয়, আমার ছোটবেলার বান্ধবীরাও এসেছে। আমার ছবি লাগানো জামা পরে। ওরাই আমার অক্সিজেন। আমার কাছে এটা একটা সারপ্রাইজ গিফট ছিল।’
আরও পড়ুন: হাজার টাকার শাড়ি ১০ হাজারে বিক্রির অভিযোগ! কত কোটির সম্পত্তি, লোকসভা ভোটের আগে হিসেব দিলেন রচনা
সোমবার চুঁচুড়া ঘড়ির মোড় থেকে ঢাক বাজিয়ে হুড খোলা গাড়িতে চড়ে খাদিনামোড় পর্যন্ত শোভাযাত্রা সহকারে মনোনয়ন জমা দিতে যান দিদি নম্বর ১-এর সঞ্চালিকা। হুগলী কেন্দ্রে রচনার বড় প্রতিপক্ষ বর্তমানে লকেট চট্টোপাধ্যায়।
আরও পড়়ুন: বউয়ের জ্বালায় বৃদ্ধ, ছড়া কেটে শোনালেন দাদাগিরিতে! মাথা নেড়ে কী জবাব সৌরভের
রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় একসময় বাংলার পাশাপাশি ওড়িয়া ছবিতেও পরপর কাজ করেছিলেন। আর তখনই ওড়িয়া সিনেমার বিখ্যাত অভিনেতা সিদ্ধান্ত মহাপাত্রকে বিয়ে করেন। তারপরেও দুজনে প্রায় ৪০টি ছবি করেন। তবে এই বিয়ে বেশিদিন টেকেনি। ২০০৪ সালে ভেঙে যায় রচনার প্রথম বিয়ে।