সন্দেহের বশে স্ত্রীকে খুন করে ফোন করে পুলিশে খবর দিলেন স্বামীই। বৃহস্পতিবার ভোর রাতে কলকাতা লাগোয়া দক্ষিণ ২৪ পরগনার বেহালার ঘটনা। নিহতের নাম সমাপ্তি দাস (২৮)। স্ত্রীকে খুনের কথা স্বীকার করেছেন স্বামী কার্তিক দাস (৪১)। তবে দম্পতির ২ সন্তানের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
জানা গিয়েছে প্রায় ১৪ বছর আগে কার্তিকের সঙ্গে নাবালিকা সমাপ্তির বিয়ে হয়। দম্পতির ১২ বছরের এক কন্যা ও ৫ বছরের এক পুত্র রয়েছে। গত ১ বছর ধরে বেহালার রাজা রামোহন রোডে ভাড়া থাকছিলেন তাঁরা। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, স্বামী - স্ত্রীর মধ্যে প্রায়শই ঝগড়া হত। মত্ত অবস্থায় বাড়ি ফিরে স্ত্রী কুকথা বলতেন কার্তিক। সম্প্রতি ফোনে বেশি ব্যস্ত থাকতেন সমাপ্তি। তাতে কার্তিকের ধারণা হয় স্ত্রী পরকিয়ায় জড়িত। এই নিয়েও ২ জনের মধ্যে তুমুল অশান্ত চলছিল।
বৃহস্পতিবার ভোর রাত ১টা নাগাদ। ১০০ ডায়ালে পুলিশ কন্ট্রোল রুমে একটি ফোন যায়। ফোনের অপর দিকে থাকা ব্যক্তি নিজের পরিচয় দিয়ে দাবি করেন, তিনি স্ত্রীকে খুন করেছেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। আধিকারিকরা দেখেন স্ত্রীর দেহের পাশে বসে রয়েছেন কার্তিক। পুলিশকর্মীদের সামনে তিনি স্বীকার করেন, তিনিই স্ত্রীকে খুন করেছেন। এর পর দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায় পুলিশ। গ্রেফতার করে কার্তিককে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান শ্বাস রোধ করে খুন করা হয়েছে সমাপ্তিদেবীকে।
তবে পুলিশ গিয়ে দম্পতির ২ সন্তানকে ঘরে দেখতে পায়নি। তদন্তকারীদের ধারণা সন্তানদের সামনেই মত্ত অবস্থায় স্ত্রীকে খুন করেন কার্তিক। সম্বিত ফিরলে ২ সন্তানকে রাতেই কোনও আত্মীয়ের বাড়িতে রেখে এসেছেন তিনি। এর পর ফোন করেছেন পুলিশে।