কন্যাশ্রী প্রকল্পের টাকা পাইয়ে দিতে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ উঠল মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক ও এক চতুর্থ শ্রেণির কর্মীর বিরুদ্ধে। ঘটনা মালদার চাঁচলের জালালপুর হাই মাদ্রাসার। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে একটি ক্লিপ। তাতে দেখা যাচ্ছে স্কুলের এক চতুর্থ শ্রেণির কর্মী এক অভিভাবকের কাছ থেকে টাকা নিচ্ছেন। বিচার চেয়ে প্রমাণসহ প্রশাসনে অভিযোগ দায়ের করেছেন বেশ কয়েকজন অভিভাবক।
জামালপুর হাই মাদ্রাসার পড়ুয়াদের অভিভাবকদের দাবি, কন্যাশ্রী ২-এর ২৫,০০০ টাকা পাইয়ে দেওয়ার জন্য পড়ুয়াদের কাছ থেকে ঘুষ নিচ্ছেন মাদ্রাসারই এক চতুর্থ শ্রেণির কর্মী। প্রধান শিক্ষক তাফাজ্জল হোসেনের নির্দেশে তিনি এই কাজ করছেন বলে দাবি তাঁদের। কন্যাশ্রীর টাকার জন্য ৩,০০০ থেকে ৮,০০০ টাকা পর্যন্ত কাটমানি নেওয়া হয়েছে বলে দাবি তাঁদের।
সম্প্রতি গোপন ক্যামেরায় টাকা লেনদেনের একটি ভিডিয়ো তোলেন এক অভিভাবক। এর পর প্রধানশিক্ষক ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মীর বিরুদ্ধে বিডিও ও এসডিওর কাছে অভিযোগ দায়ের করেন কয়েকজন। তাদের দাবি, অবিলম্বে দুর্নীতিগ্রস্ত প্রধান শিক্ষকের শাস্তি চাই।
টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক জানিয়েছেন, পুরোটাই চক্রান্ত। আলোচনা করে অভিযোগ মিটিয়ে ফেলা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত হবে বলে জানিয়েছেন মালদার জেলাশাসক।