উন্নয়ন বোঝাতে গেলে প্রথমেই সেই এলাকার রাস্তাঘাট দিয়ে শুরু করতে হয়। কিন্তু যদি রাস্তাঘাট ভাঙাচোরা থাকে তাহলে উন্নয়ন কোথায়? বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দার্জিলিংকে সুইৎজারল্যান্ড করবেন বলে ক্ষমতায় আসার আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। ক্ষমতায় এসে তিনি উত্তরবঙ্গে অনেক কাজও করেছিলেন। তারপর সেই কাজ অর্থাৎ উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে জিটিএ–কে দায়িত্বও দেওয়া হয়। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, টাইগার হিলের বিখ্যাত ‘ভিউ পয়েন্ট’টির চেহারাই যেন বদলে গিয়েছে। চাতাল জুড়ে অসংখ্য গর্ত। এখানে ওখানে ছড়ানো লোহার রড। পুরনো ভবনটি ভাঙার কাজও শুরু হয়েছে। সব মিলিয়ে ভিউ পয়েন্ট যেন মরণফাঁদ।
এদিকে টাইগার হিলের ভিউ পয়েন্টটি জিটিএ’র অধীনে। এই কথা জানতে পেরে জিটিএ এবং প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলার আশ্বাস দিয়েছেন রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব। জিটিএ’র পর্যটন দপ্তরের সহ–অধিকর্তা সুরজ শর্মা বলেন, ‘পর্যটকদের নিরাপত্তা সবার আগে দেখতে হবে। বিষয়টি আমরা দেখছি।’ দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক এস পুন্নমবলম বলেন, ‘টাইগার হিলের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তারপর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ করোনা আবহে বন্ধ ছিল পাহাড়। পুজোর আগে তা খুলে গিয়েছে। তাতে পাহাড়ে আসতে শুরু করেছেন পর্যটকেরা। টাইগার হিল থেকে সূর্যোদয় এবং কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখাটা তাই পর্যটকদের কাছে প্রধান আকর্ষণ। আর সেখানেই এই অবস্থা।
পর্যটকদের সূত্রে খবর, বড় বড় গর্ত রয়েছে। কোথায় সেগুলির উপরে লোহার রড পেতে দেওয়া হয়েছে, কোথাও প্লাইউডের টুকরো। তার উপর দিয়েই চলছে যাতায়াত। দুর্ঘটনার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। যে ভিউ পয়েন্টটা দর্শকদের জন্য খোলা আছে, তাতেও কোথাও আবার সিঁড়িতে রেলিং নেই।
জিটিএ সূত্রে খবর, ৮১০০ ফুট উচ্চতায় থাকা এই বিখ্যাত ভিউ পয়েন্টটি সংস্কারের কাজ শুরু হয় ২০১৬ সাল থেকে। মাঝে বেশ কিছু দিন কাজ বন্ধ ছিল। আবার তা শুরু হয়েছে। তার মধ্যে পর্যটন মরসুম চালু হয়ে যাওয়াতেই হয়েছে বিপত্তি। তবে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।