নন্দীগ্রামে গুলি চালনার ঘটনায় শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোকে কেন্দ্র করে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে প্রবল উত্তেজনা সৃষ্টি হল। দুপক্ষের মধ্যে বচসা ও হাতাহাতি হয়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
জানা গিয়েছে, এদিন নন্দীগ্রামে গুলি চালানোর প্রতিবাদে গোকুলনগর ও ভাঙাবেড়ায় কর্মসূচি পালন করে তৃণমূল ও বিজেপি। এদিন গোকুলনগরে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কর্মী ও সমর্থকরা। তৃণমূল কর্মীরা বলতে থাকেন, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে ঢুকতে দেওয়া হবে না। তৃণমূল কর্মীরা যখন বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন, তখন উলটোদিকে বিজেপি কর্মীরা দাঁড়িয়েছিলেন। বিজেপি কর্মীদের অভিযোগ, রাজনৈতিক কারণে শহিদকে ভাগাভাগি করছে তৃণমূল। এদিন শহিদ বেদিতে মালা দেওয়াকে কেন্দ্র করে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে বচসা ও হাতাহাতি হয়। তৃণমূল কর্মীরা অভিযোগ করেন, শহিদ বেদিতে তাঁরা যে মালা দিয়েছিলেন, তা ফেলে দিয়েছে বিজেপি।
এদিকে টুইটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রামে কৃষকদের উপর গুলি চালনার ঘটনাকে কেন্দ্র করে জানান, '২০০৭ সালে নন্দীগ্রামে নিহত গ্রামবাসীদের স্মরণে ১৪ মার্চ কৃষক দিবস পালন করি। কৃষকরা আমাদের গর্ব। কৃষিপণ্য উৎপাদন ও বাজারজাত করে বিক্রি করা পর্যন্ত কৃষকদের আমরা সবরকমভাবে সাহায্য করি। কৃষি উৎপাদনে বাংলা সারা দেশের মধ্যে শীর্ষস্থানে রয়েছে। কৃষকদের আয়ও বেড়েছে তিন গুণ।'