হাতে সময় বেশি নেই। তাই এখনই ভোটের সাংগঠনিক প্রস্তুতি শুরু করতে চাইছে তৃণমূল। এখন আনলক ফাইভ চলছে। তাই শুভ কাজে দেরি নয়। জানা গিয়েছে, ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের পরামর্শে রাজ্যজুড়ে প্রায় ৬০০ টি সভার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এই কর্মসূচিতে বিধানসভা কেন্দ্র পিছু অন্তত দু’টি সভা করতে বলা হয়েছে। আর কালীপুজোর পরেই এই রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে অল–আউট ঝাঁপাতে হবে।
দুর্গাপুজোর পর এই রাজ্যের রাজনৈতিক দলের কাছে জনসংযোগের অন্যতম মঞ্চ ‘বিজয়া সম্মিলনী’। করোনা আবহে বড় করে তা না করা গেলেও চুপচাপ বসে থাকা সম্ভব নয় তৃণমূলের। কারণ বছর ঘুরলেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তাই জেলাস্তরে একেবারে নির্দেশিকা দিয়ে এই কর্মসূচি সফল করতে বলা হচ্ছে। এইসব সভার সাফল্য–ব্যর্থতার দিকে নজর রাখবে পিকের সংস্থা আইপ্যাক। তাই কর্মসূচির ছবি ও ভিডিয়ো সংশ্লিষ্ট এলাকায় ওই সংস্থার প্রতিনিধি মারফত দলীয় নেতৃত্বের কাছে পাঠাতে বলা হয়েছে।
কর্মসূচির প্রথম পর্বে বিধানসভা পিছু দুই অথবা প্রয়োজনে তার বেশি সভা করতে দলের জেলা ও বিধানসভাভিত্তিক ভারপ্রাপ্ত নেতাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রতি বছর দশমীতে দলের নেতা, কর্মী ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার তা বাতিল করা হয়েছিল। আগামী সপ্তাহের গোড়া থেকেই এই কর্মসূচি শুরু হয়ে যাবে জেলায়।
উল্লেখ্য, আগামী রবিবার যে জেলাগুলি থেকে এই কর্মসূচি শুরু হচ্ছে তার অন্যতম পশ্চিম মেদিনীপুর। জেলায় তিন স্তরে সভা করে বিজয়ার শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন তাঁরা। জেলা সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, ‘করোনা কি শুধু তৃণমূলের সভায় সংক্রমণ ছড়াবে? বিজেপি তো নবান্ন অভিযান করল!’ ইতিমধ্যেই দলের কোর কমিটির বৈঠকে তৃণমূলনেত্রী প্রত্যেক বিধায়ককে নিজের নিজের আসন থেকে জেতার নিদান দিয়েছেন। তাই এই সভাগুলি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।