বিজেপি যখন লোকসভা নির্বাচনে বাংলা থেকে ৩৫টি আসনের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছে তখন ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের আসন সংখ্যা বেঁধে দিলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ, রবিবার উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ার জনসভা থেকে পরের বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে আসন সংখ্যা বেঁধে দিলেন নেতা–কর্মীদের। এই সভা থেকে বিজেপিকে বিঁধেছেন অভিষেক। আর পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভাল ফল করে লোকসভা নির্বাচনে আসন সংখ্যা বাড়িয়ে বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল আসনের টার্গেট দিয়েছেন ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ। আর তা নিয়েই এখন জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
এদিন উত্তর দিনাজপুরে আছড়ে পড়ে তৃণমূলে নব জোয়ারের ঢেউ। সেই কর্মসূচি নিয়ে আজ সেখানে জনসভা ছিল অভিষেকের। এই জনসভায় উল্লেখযোগ্যভাবে কংগ্রেসকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘বাংলা থেকে দু’জন কংগ্রেস সাংসদ আছেন। যাঁরা দিল্লিতে বাংলার প্রাপ্য টাকা আটকে রাখা নিয়ে কোনও শব্দ খরচ করেনি। এটা অত্যন্ত দুঃখের। একশো দিনের কাজের টাকা, সড়ক যোজনার টাকা–সহ নানা প্রকল্পের টাকা কেন্দ্রীয় সরকার আটকে রেখেছে। গরিব মানুষের টাকা আটকে রেখেছে মোদী সরকার। বিজেপির সাংসদরা তো কিছু করেননি। এমনকী বাংলা থেকে জয়ী দুই কংগ্রেস সাংসদকেও কোনও প্রতিবাদ করতে দেখা যায়নি।’ নাম না করে অধীর চৌধুরী এবং আবু হাসেম খান চৌধুরীকে (ডালু) বিঁধেছেন তিনি।
এদিকে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকারকে তুলোধনা করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এখান থেকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন বিজেপিকে। অভিষেক মঞ্চ থেকে বলেন, ‘আমি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, আগামী দিন দিল্লিতে যাব। মানুষের অধিকারের প্রাপ্য টাকা ফিরিয়ে আনব। প্রয়োজনে অনির্দিষ্টকালের জন্য দিল্লিতে ধরনা–অবস্থানে বসব। দিল্লির বুক থেকে অধিকার ছিনিয়ে আনব। কারও ক্ষমতা নেই আটকে রাখার। মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দেব। তাই আপনারা চাইলে এমন আন্দোলনো হবে। তখন দেখব কে টাকা আটকে রাখে?’
বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে কী বলেছেন? আজ, রবিবার উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায় ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। চোপড়ার জনসভা থেকে অভিষেক বলেন, ‘ইডি–সিবিআই দিয়ে ধমকে চমকে কোনও লাভ হবে না। অন্য দল ভয় পেতে পারে। তৃণমূল এসবকে ভয় পায় না। আমাকেও নোটিশ পাঠিয়েছে। যত নোটিস আসবে, আন্দোলনের ভাষা তত তীব্র হবে। ধমকে চমকে তৃণমূলকে আটকাতে পারবেন না। ২০১১ সালে ১৮৪ আসন ছিল, ২০১৬ সালে ২১১, আর ২০২১ সালে ২১৪। ২০২৬ সালে তৃণমূল কংগ্রেসের আসনসংখ্যা ২৪০ হবে। যত ধমকাবেন চমকাবেন, ততই শক্তিশালী হবে তৃণমূল।’