গত মঙ্গলবার বিচারপতির পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর সদ্য বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আর বিজেপিতে যোগ দিতেই তাঁর বিরুদ্ধে একের পর কটাক্ষের বন্যা বয়ে এসেছে ঘাসফুল শিবির থেকে। আর এবার নাম না করে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে নিশানা করলেন তৃণমূলের যুবনেত্রী সায়নী ঘোষ। তিনি বলেছেন, ‘গোমূত্র দিয়ে কুলকুচি করে এসে রায় দিতেন বিচারপতি!’
আরও পড়ুনঃ মুখোশটা খুলে পড়েছে…'বিজেপি বাবু' অভিজিৎকে আক্রমণ মমতার, যেখানেই দাঁড়াবেন সেখানেই…বড় হুঁশিয়ারি
বৃহস্পতিবার যুব তৃণমূলের তরফে বাঁকুড়ার হিন্দু হাইস্কুল মাঠে একটি রক্তদান শিবির এবং ‘জনগর্জন সভা’র প্রস্তুতি সভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে নাম না করে তৃণমূল যুবনেত্রী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেন। তাঁকে বলতে শোনা যায়, একজন বিচারকের চেয়ারে বসে অনেক বড়বড় কথা বলেছেন। এখন বোঝা যাচ্ছে সেই সমস্ত রায় তিনি দিয়েছিলেন গোমূত্র খেয়ে। নাম না করে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের তীব্র সমালোচনা করে আরও মন্তব্য করেন, এতদিন তিনি বিচার করতেন এবার মানুষ তার বিচার করবেন।
শুধু তাই নয়, অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে প্রকাশ্যে চ্যালেঞ্জ করেছেন সায়নী। তিনি আরও বলেন, তৃণমূল ভয় পায় না। মাঠে নেমে খেলা করলেই বুঝতে পারবে কত ধানে কত চাল। বাংলার মানুষ তাদের বিদায় করবে বলে সায়নী মন্তব্য করেন।
এনিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। এই মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছে বিজেপি। পদ্ম শিবিরের মতে, সায়নী নিম্নরুচির পরিচয় দিয়েছেন। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় একজন বিচারপতি হিসেবে রায় দিয়েছিলেন। তাই এভাবে মন্তব্য করা উচিত হয়নি।
অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে ‘সুযোগ সন্ধানী’ এবং ‘বিজেপি বাবু’ বলে কটাক্ষ করেছেন। শুধু তাই নয় তৃণমূলের বহু নেতা অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে একের পর এক আক্রমণ করে চলেছেন। প্রসঙ্গত, বিচারপতির চেয়ারে থাকার সময় অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় রাজ্য সরকার এবং শাসক দলের নেতাদের বিরুদ্ধে একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিয়েছিলেন। তখন থেকেই তিনি তৃণমূলের চক্ষুশূল ছিলেন তিনি । ফলে ইস্তফা দিতেই তাঁর বিরুদ্ধে জোরদার আক্রমণ করে চলেছেন তৃণমূলের নেতারা। তবে বিজেপিতে যোগ দিয়েই অভিজিৎ বলেন, এখন তাঁর উদ্দেশ্য হল ২০২৪ থেকে তৃণমূলের বিদায়লগ্নের সূচনা করে দেওয়া।