‘‌মমতার সিদ্ধান্তই এই ব্যাপারে চূড়ান্ত’‌, বাবুলের তৃণমূলে যোগ নিয়ে বললেন মলয়

আসানসোল উত্তরের বিধায়ক মলয় ঘটক। আর তাঁর বিধানসভা কেন্দ্র আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। যেখানের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়।

মলয় ঘটক

একুশের নির্বাচনের ফলাফলের পর অনেক বিজেপি নেতাই পদত্যাগ করেছেন। সম্প্রতি বাবুল সুপ্রিয় নিয়ে রাজ্য–রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। কারণ তিনি নিজেই ফেসবুক পোস্টে নানা কথা লিখেছেন। এমনকী কোনও দলে যোগ দিচ্ছেন না বলেও উল্লেখ করেছেন। কিন্তু এই বিষয়ে রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটকের প্রতিক্রিয়া, নরেন্দ্র মোদী সরকারের জনবিরোধী নীতির প্রতিবাদে বঙ্গ বিজেপি তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়বে। একটা সময় আসবে যখন বিজেপি কার্যালয়ের তালা খোলার মতো আর কাউকে খুঁজে পাওয়া যাবে না। এই প্রতিক্রিয়া নিয়ে এখন শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

আসানসোল উত্তরের বিধায়ক মলয় ঘটক। আর তাঁর বিধানসভা কেন্দ্র আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। যেখানের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। আসানসোলে তৃণমূল কংগ্রেসের এক অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন মন্ত্রী মলয় ঘটক। সেখানে তাঁকে বাবুল সুপ্রিয়র ফেসবুক পোস্ট নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। বাবুল সুপ্রিয় কী তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেবেন?‌ সংবাদমাধ্যমের কাছে তিনি বলেন, ‘‌এটা দলের ব্যাপার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিদ্ধান্তই এই ব্যাপারে চূড়ান্ত।’‌ ২০১৪ থেকে টানা আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। ২০২৪ সালে আবার লোকসভা নির্বাচন। যাকে পাখির চোখ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেখানে রাজ্যের মন্ত্রীর এই মন্তব্য যথেষ্ট ইঙ্গিতপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

একুশের নির্বাচনের সময় বাবুলকে খোঁচা দিয়ে মলয় ঘটক বলেছিলেন, ‘‌ওনাকে (বাবুল সুপ্রিয়) তো আসানসোলের মানুষ দেখতেই পান না।’‌ আর এবার জানান, আগামী দিনে ত্রিপুরার পাশাপাশি বাংলাতেও বিজেপি করার মতো কাউকে খুঁজে পাওয়া যাবে না। ত্রিপুরাতে প্রশান্ত কিশোরের আইপ্যাকের কর্মীদের আটক করাকে বেআইনি বলে দাবি করেন রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক। তিনি বলেন, ‘‌আসলে বিজেপি ভয় পেয়েছে। তাই গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধের চেষ্টা।’‌