তৃণমূল কংগ্রেসের দুই বিধায়ক এখন জেলে। একজন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। অন্যজন মানিক ভট্টাচার্য। আর এক জেলার সভাপতিও এখন জেলে। হ্যাঁ, তিনি বীরভূম তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। এছাড়া শিক্ষা দফতরের কয়েকজন জেল বন্দি। এই নেতা–কর্মীরা দলের নীতি, অনুশাসন মানছেন না বলেই সমস্যায় পড়ছে দল বলে মন্তব্য করলেন বারাসতের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক চিরঞ্জিৎ ওরফে দীপক চক্রবর্তী। ইতিমধ্যেই তাপস মণ্ডলের বাড়ি গিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। এবার তা নিয়েও মুখ খুললেন এই তারকা বিধায়ক।
ঠিক কী বলেছেন বারাসতের বিধায়ক? বামনগাছিতে বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে চিরঞ্জিৎ বলেন, ‘ইডি শিকড়ের খোঁজে বারাসতে এসেছিল। কিন্তু আমার বারাসতে কোনও কলঙ্ক নেই। ইডি তো তাদের কাজ করবেই। এই বিষয়ে কিছু বলার নেই। তবে ইডি বারাসতের জন্য আসেনি। একটা কানেকশনে এসেছে। যাকে ধরার জন্য ইডি এসেছে, তার কিছু সম্পত্তি ছড়িয়ে রয়েছে।’ এই মন্তব্য তাপস মণ্ডলের বিরুদ্ধেই বলে মনে করা হচ্ছে।
আর কী বলেছেন চিরঞ্জিত? দলের নীতি–অনুশাসন অনেকে মানছেন না। তার জেরে গোটা দলকে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। এই বিষয়ে তৃণমূল বিধায়ক বলেন, ‘কয়েকজনের জন্য অসুবিধায় পড়ছে দল। সবাই রাজা হতে চাইছেন। কেউ নীতি মানতে চাইছেন না। এটাই হচ্ছে সমস্যা। যে মানুষরা নীতি মানতে চাইছে না, তাদের মধ্যেই এগুলি হচ্ছে। ইডি তাদের পিছনেই দৌড়বে। রাজা যে হতে চাইছে না— যেমন আমি ইডি, সিবিআইকে কালই ফোন করে কথা বলতে পারি। ডাকতে পারি। বলতে পারি আমার বাড়িতে আসুন, আমার বাড়িতে মিষ্টি খাবেন। কিন্তু আমি নিশ্চিত তাও আসবে না। একটু ভাল থাকলেই হয়, কোনও অসুবিধা নেই।’
এসবের প্রভাব কি পঞ্চায়েত নির্বাচনে পড়বে? এই বিষয়ে চিরঞ্জিৎ বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নমূলক কাজে মানুষ আস্থা রাখবেন। চালে দু’চারটে কাঁকর থাকতে পারে। কিন্তু চালটা খাব না, এটা হয় না। চাল তো খেতেই হবে। সেদ্ধ করে। আমাদের কাছে একটা লাঠি আছে। যার নাম সিআইডি। ওদের কাছে দু’টি রিভলভার আছে— ইডি আর সিবিআই। তাই লাঠি নিয়ে ওদের সঙ্গে লড়াই করা সম্ভব নয়।’