সম্প্রতি দিলীপ ঘোষের মন্তব্যে রাজ্য–রাজনীতি তোলপাড় হয়েছে। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই উস্কানিমূলক মন্তব্য করলেন ওন্দার বিজেপি বিধায়ক অমরনাথ শাখা। বছর ঘুরলেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে বিতর্কিত এবং উস্কানিমূলক মন্তব্য করার ফলে জেলায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। সরাসরি মারামারির নিদান দেওয়ায় নির্বাচন রক্তাক্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকে।
ঠিক কী বলেছেন ওন্দার বিধায়ক? এদিন দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দেন ওন্দার বিধায়ক অমরনাথ শাখা। তাঁর সঙ্গে ছিলেন সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। সেখানেই তিনি বলেন, ‘এত বড় লাঠি হলে চলবে না, আর একটু ছোট লাঠির দরকার। না হলে ঘোরানো যাবে না। মানুষ আমাদের সঙ্গে আছেন। মারা যাওয়ার আগে নয়, এখনই ডেকাড্রন, ডেলিফাইন নিন, চনমনে ভাব আনুন।’
তারপর ঠিক কী ঘটল? এই উস্কানিমূলক মন্তব্যের পর জেলায় আলোড়ন পড়ে যায়। জোর চর্চা হতে শুরু করে। এই পরিস্থিতিতে ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে তাঁর সাফাই, ‘তৃণমূল হল ছাগলের তৃতীয় বাচ্চার একটা দল। তারা যেভাবে খুশি পুলিশকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করছে। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে তাদের হাত থেকে রক্ষা পেতে গেলে আমাদের রক্ষাকবচ দরকার। তাই এই বিধান।’
ঠিক কী বলছে তৃণমূল কংগ্রেস? বিজেপি বিধায়কের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল যুব সভাপতি সুব্রত দত্ত বলেন, ‘ওন্দার বিধায়ক যে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের কথা বলেছেন তা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারত ব্যবহার করেছিল। উনি কি হামিরপুরের লোকদের পাকিস্তানের লোক হিসেবে বিবেচনা করছেন? আমাদের লাঠি দেখিয়ে লাভ নেই। গত বিধানসভায় মানুষ ২১৩টা গোল দিয়েছে মানুষ। এবারে লাঠি দেখালে মানুষ আরও বেশি গোল দেবে।’