রাজনৈতিক কারণে আসানসোল পুরনিগমকে ২০০০ কোটি টাকার কেন্দ্রীয় অনুদান থেকে বঞ্চিত করেছে রাজ্য সরকার। নিজের দলের সরকারের মন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে বিস্ফোরক এই অভিযোগ জানানোর পর সরকারি সুপারিশে প্রাপ্ত পদ থেকে ইস্তফা দিলেন আসানসোল পুরনিগমের মুখ্য প্রশাসক জিতেন্দ্র তিওয়ারি। সোমবার সকালে রানিগঞ্জ মহিলার কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন তিনি। তাঁর ইস্তফার খবরে কলেজের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদ সদস্যরা। তাঁদের দাবি, ইস্তফা প্রত্যাহার করতে হবে জিতেনবাবুকে।
এদিন উচ্চশিক্ষা দফতরকে দেওয়া ইস্তফাপত্রে জিতেন্দ্র তিওয়ারি লিখেছেন, ‘ব্যক্তিগত রাজনৈতিক ব্যস্ততার কারণে রানিগঞ্জ মহিলা কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতির পদ থেকে অব্যহতি চাইছি।’ এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই রানিগঞ্জ মহিলা কলেজের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে TMCP. তাদের দাবি, জিতেনবাবু পদে থাকাকালীন কলেজের প্রভূত উন্নতি হয়েছে। ফলে কোনও মতেই তাঁর পদত্যাগ করা চলবে না। দরকারে হস্তক্ষেপ করুন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সম্প্রতি পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে চিঠি দিয়ে রাজনৈতিক কারণে কেন্দ্রীয় প্রকল্প থেকে আসানসোলকে বঞ্চিত করার অভিযোগ তোলেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। সোমবার সকালে প্রকাশ্যে আসে সেই চিঠির বয়ান। তাতে তিনি লিখেছেন, কেন্দ্রীয় সরকার স্মার্ট সিটি প্রকল্পের জন্য আসানসোলকে নির্বাচিত করেছিল। এই প্রকল্পের অধীনে ২,০০০ কোটি টাকা পাওয়ার কথা ছিল পুরনিগমের। কিন্তু রাজনৈতিক কারণে সেই টাকা নিতে দেয়নি রাজ্য সরকার। বদলে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা বললেও সেই ক্ষতিপূরণ এখনো দেননি পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। এই চিঠির পর জিতেন্দ্র তিওয়ারির রাজনৈতিক অবস্থান নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।