রাজ্যে একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে শাসক দলের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি, গরু পাচার মামলা, কয়লা পাচার এবং পুরসভায় নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় কাঠগড়ায় শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। ইতিমধ্যে গ্রেফতার হয়েছেন শাসকদলের বেশ কয়েকজন নেতা মন্ত্রী। গতকাল রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় পুরসভায় নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে তল্লাশি চালিয়ে বেরিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। এই অবস্থায় আবারও ইডি, সিবিআইকে হুঁশিয়ারি দিলেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। তাঁর হুঁশিয়ারি, যেকোনো জায়গায় সিবিআই, ইডিকে ঢুকতে গেলে আগে তৃণমূল ভবনে চিঠি পাঠাতে হবে। তবে রাস্তা ক্লিয়ার পাবে ইডি, সিবিআই।
উত্তর ২৪ পরগনার বরানগরের নবজোয়ারের প্রস্তুতি সভায় উপস্থিত হয়ে মদন মিত্র ইডি,সিবিআইকে হুঙ্কার দিয়ে বলেন, ‘সিবিআই, ইডি যেখানে যাবেন আগাম তৃণমূল ভবনে চিঠি দিয়ে জানিয়ে যাবেন। না হলে আগামী দিনে সেখানে ঢোকার রাস্তা ক্লিয়ার পাবেন না। কোথায় যাচ্ছেন তৃণমূলকে আগে না জানালে, রাস্তায় আটকে যেতে পারেন। এমন সভা হবে, ট্রাফিক ক্লিয়ারেন্স পাবে না ইডি, সিবিআই। তাই সবার আগে বলি তৃণমূল অফিসে একটা চিঠি দিয়ে যাবেন। আমরা বুঝে নেব। আমাদের একটি অফিস আছে অভিষেকের বাড়িতে। চিঠিতে জানিয়ে দেবেন আপনারা কোথায় যাবেন। কাকে ভয় দেখাচ্ছেন!’
এছাড়াও, মদন মিত্রের আরও হুঁশিয়ারি, ‘ রোজ চুলকোবেন না। একদিন চুলকান। আপনি একা আসবেন না পারলে সঙ্গেই ইডি, সিবিআই, ডিআরআই, এএনআই, নেভি যা আছে সবকিছু নিয়ে আসুন। রোজ চুলকোবেন না। বেশি চুলকালে ঘা হয়ে যাবে।’ মদন মিত্রের যে হুঁশিয়ারি প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা সজল ঘোষের পালটা আক্রমণ, ‘রাজনীতিতে ভেসে থাকার জন্য এসব বলছেন মদন।’ প্রসঙ্গত, আজ বুধবার অভিষেক পত্নী রুজিরা বন্দোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এর পাশাপাশি রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটককেও ডেকে পাঠানো হয়েছে। তার আগে ফের কেন্দ্রীয় সংস্থাকে হুঁশিয়ারি দিলেন মদন মিত্র।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup