মনোরঞ্জন ব্যাপারী। তিনি একদিকে লেখক। বলা ভালো দলিত লেখক। তিনি নিজেই এভাবে পরিচয় দিতে অভ্যস্ত। বহু পুরষ্কার রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। তাঁর লেখার কদর রয়েছে বিশ্বজুড়েই। অন্য়দিকে তিনি বলাগড়ের তৃণমূল বিধায়ক। মাঝেমধ্যেই তাঁকে দেখা যায় তিনি টোটো চালিয়ে এলাকায় ঘুরছেন। কাঁধে গামছা। আসলে অনেকেই বলেন, বিধায়ক হওয়ার আগেও লেখক হিসাবেও জাতীয় ও আন্তর্জাতিকস্তরে তাঁর খ্যাতি কিছু কম নয়। এদিকে তৃণমূল বিধায়ক হওয়ার পরে তাঁর জীবন চর্চায় ঠিক কী ধরনের পরিবর্তন হয় সেদিকেও নজর ছিল বঙ্গবাসীর। কিন্তু আপাতভাবে তিনি এখনও তাঁর ফেলে আসা সংগ্রামের জীবনটাকে পুরোপুরি ফেলে দেননি। এখনও তাঁকে দেখা যায় টোটো চালাতে। এখনও তাঁকে দেখা যায় গ্রামের অতি সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশে যেতে।
সেই মনোরঞ্জন ব্যাপারী কভার ফটোতে দিয়েছেন টোটো চালানোর সেই ছবি। তিনি নিজেই লিখেছেন টোটো চেপেই আমি জনসংযোগ করি। তবে নেটনাগরিকরা অবশ্য় অত সহজে বিষয়টি মেনে নিতে চাইছেন না। তাঁদের কয়েকজনের দাবি, ফটো শুট করার জন্য এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন তিনি। পুরোটাই লোকদেখানো।
এদিকে একজন নেটনাগরিক প্রস্তাব দিয়েছেন, টোটোর বদলে অ্য়াম্বুল্যান্স চালাতে দেখলে গর্ব বোধ করতাম। তাহলে অনেক হতদরিদ্র মানুষ অবহেলায় মারা যেতেন না। তবে এর জবাবও দিয়েছেন বিধায়ক। আমার বিধায়ক কোটায় দুটো অ্যাম্বুল্যান্স এসেছে। লিখেছেন তৃণমূল বিধায়ক।
একজন লিখেছেন, আমাদের কাউন্সিলর দু দশটা গাড়ি ছাড়া রাস্তায় বের হন না। সবই নেতা নেত্রীদের দয়া। অপরজন লিখেছেন, বৈচিত্রময় জীবন আপনার। কাল প্লেনে গিয়ে কোনও ফাইভ স্টার হোটেলে তো আজ টোটো চালকের আসনে।
তবে বিধায়ক এর আগে তাঁর আয় ব্যয়ের হিসাবও প্রকাশ্য়েই জানিয়ে দিয়েছিলেন। অনেকেই বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে কিছুটা হলেও ব্যতিক্রমী মনোরঞ্জন ব্যাপারী। তবে নেট নাগরিকদের একাংশের প্রশ্ন, শাসকদলের বিরুদ্ধে যখন একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে তখন সেই দলে তিনি থাকেন কীভাবে? কেন তিনি দ্বিচারিতা করেন? কেন তিনি শাসকদলের একাংশের দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরাসরি, প্রকাশ্যে প্রতিবাদ করেন না? কেন তিনি রাজনীতি ছেড়ে কেবলমাত্র লেখার জগতে নিজেকে আবদ্ধ করেন না? প্রশ্নটা সাধারণ মানুষের।
অনেকেই বলছেন, তৃণমূল নেতাদের অনেকের সম্পত্তি দেখলে চোখ কপালে ওঠে। সেজায়গায় এই টোটো চালানোর ছবি যেন অন্যরকম।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup