উচ্চমাধ্য়মিকের রেজাল্ট সবে বের হয়েছে। এবার কলেজে ভর্তির পালা। তবে এক্ষেত্রে মেধাতালিকায় যারা নাম তুলতে পেরেছেন তাদের নিয়ে উচ্ছাস গোটা বাংলা জুড়ে। কিন্তু মেধা তালিকার বাইরেও তো পড়ে রইলেন হাজার হাজার ছাত্রছাত্রী। তাদের সামনে এখন অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ। সবার আগে প্রশ্ন পছন্দের বিষয় নিয়ে কি আদৌ তাঁরা পড়াশোনা করতে পারবেন? কারণ হল ভয়াবহ প্রতিযোগিতা।
প্রথমত দেখা যাচ্ছে যে এই বছর ৯০ শতাংশের বেশি নম্বর পেয়েছেন মাত্র ১.২৩ শতাংশ ছাত্রছাত্রী। মাত্র ৪ হাজারের কিছু বেশি পড়ুয়া এই নম্বর পেয়েছেন। তার বাইরে যারা তাদের কী হবে?
৮০ শতাংশ বা তার থেকে কিছুটা বেশি নম্বর পেয়েছেন মাত্র ৮.৪৭ শতাংশ। ৬০ ও ৭০ শতাংশ নম্বর পেয়েছেন যথাক্রমে ৪০.৯২ ও ২২.৩৮ শতাংশ পড়ুয়া। এবার উচ্চমাধ্য়মিকে মেধাতালিকায় প্রথম ১০টি স্থানের মধ্য়ে রয়েছেন ৫৮জন পড়ুয়া। বাকিদের কী হবে?
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, দেখা যাচ্ছে এবার দিল্লি বোর্ডের পরীক্ষাগুলিতে যে সাফল্য মিলেছে ও যে পরিমাণ নম্বর তারা পেয়েছেন তা নজরকাড়া। এদিকে কলেজে ভর্তির সময় এই সর্বভারতীয় বোর্ডের পড়ুয়াদের সঙ্গে পাল্লা দিতে হবে রাজ্য়ের বোর্ডের পড়ুয়াদের। সেটা কতটা সহজ হবে তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই যাচ্ছে। কারণ সর্বভারতীয় বোর্ডগুলিতে যে পরিমাণ নম্বর এসেছে তা এককথায় অনেকটাই বেশি ও বেশি সংখ্যক পড়ুয়া নজরকাড়া রেজাল্ট পেয়েছে। এর ফলে তাদের সঙ্গে পাল্লা দেওয়াটা উচ্চমাধ্য়মিক পাশ করা ছাত্রছাত্রীদের কাছে স্বাভাবিকভাবেই কিছুটা কঠিন হবে।
তবে এবারই যে প্রথমবার এই দুশ্চিন্তা তেমনটা নয়। প্রতিবারই ফল প্রকাশ হওয়ার পরে এই ধরনের দুশ্চিন্তা বাড়তে থাকে ক্রমশ। প্রতিবারই দেখা যায় পছন্দের বিষয় নিয়ে অনেকেই ভর্তি হতে পারছেন না। আবার তাদের কলেজে পড়তেও হবে। সেকারণে পছন্দ নয় এমন বিষয় নিয়েও তারা পড়তে বাধ্য় হন। এমনকী অনার্স নিয়ে অনেকের পড়ার ইচ্ছা থাকে। কিন্তু সেটা শেষ পর্যন্ত আর হয়ে ওঠে না। ফলে পাশ কোর্সেই পড়তে হয়।
একদিকে মেধাতালিকায় থাকা ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে গোটা বাংলা জুড়ে উচ্ছাস। প্রচারের আলো থাকে তাদের উপরই। আর যারা কিছুই হতে পারলেন না তাদের কী হবে? নানা প্রতিকূলতার জন্য যারা পরীক্ষায় ঠিকঠাক নম্বর পেলেন না তাদের পছন্দের বিষয় নিয়ে ভর্তি হওয়াটাই এখন চাপের।
তবে অনেকে আবার হাতে কলমে কাজ শেখা অথবা ভিন রাজ্যে নার্সিং পড়তে যাওয়ার কথাও ভাবছেন। কিন্তু সবার উপরে একটাই প্রশ্ন চাকরি জুটবে তো?