লোকসভা নির্বাচনের আর বেশি দেরি নেই। গতকালই প্রথম দফার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে বিজেপি। আর ভোট এগিয়ে আসতেই রাজনৈতিক নেতা নেত্রীদের মুখে বেশি করে শোনা যাচ্ছে কুকথা। একে অপরকে হুঁশিয়ারি পালটা হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন রাজনৈতিক নেতৃত্ব। এই পরিস্থিতিতে বিজেপি, আরএসএসের নেতা কর্মীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বিতর্কে জড়ালেন ক্যানিংয়ের তৃণমূল বিধায়ক পরেশ রামদাস। তিনি বিজেপি-আরএসএস নেতা কর্মীদের পা মেরে ভেঙে দেওয়ার নিদান দিয়েছেন। তৃণমূল বিধায়কের এমন নিদানকে ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
আরও পড়ুন: ‘শুভেন্দু অধিকারীকে বেঁধে রাখব’, বিস্ফোরক হুমকি দিলেন ক্যানিং পশ্চিমের তৃণমূল বিধায়ক
ঠিক কী বলেছেন তৃণমূল বিধায়ক?
পরেশ রামদাস বিজেপি এবং আরএসএসকে সতর্ক করে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, কোনওভাবে ধর্মীয় ভেদাভেদের রাজনীতি করা যাবে না। নির্বাচনের প্রচার করতেই পারে তাতে সমস্যা নেই, তবে উস্কানিমূলক কিছু করলেই মেরে পা ভেঙে দেওয়া হবে। উল্লেখ্য, আগামী ১০ মার্চ ব্রিগেডে জনগর্জন সভা রয়েছে তৃণমূলের। এই সভাকে ঘিরে জেলায় জেলায় প্রচার চলাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। শনিবার সেই সভার প্রচার করেন পরেশ রামদাস। সেই প্রচার পর্বেই তিনি প্রকাশ্য জনসভা থেকে বিজেপি এবং আরএসএস কর্মীদের হুঁশিয়ারি দেন।
প্রসঙ্গত, এর আগে বিভিন্ন ধরনের হুঁশিয়ারি দিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন তৃণমূল বিধায়ক। এর আগে তিনি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে বেঁধে রাখার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। আর এবার লোকসভা ভোটের আগে বিজেপি এবং আরএসএসের নেতা কর্মীদের পা ভেঙে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন।
তৃণমূল বিধায়কের এমন মন্তব্যকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে ক্যানিংয়ের রাজনীতিতে আলোড়ন পরে গিয়েছে। এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে বিজেপি। দলের স্থানীয় নেতৃত্বের বক্তব্য, এর আগেও পরেশ রামদাসের নেতৃত্বে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা বিজেপির কর্মীদের ওপর অত্যাচার চালিয়েছে। তাদের বাড়ি ভাঙচুর করেছে। তাদের বক্তব্য, বালি দখল থেকে শুরু করে সরকারি জমি দখল চলছে এই তৃণমূল বিধায়কের নেতৃত্বে। এ বিষয়ে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের পালটা হুঁশিয়ারি বীরভূমের নেতা অনুব্রত মণ্ডল এখন জেলে রয়েছে, শেখ শাহজাহানও জেলে রয়েছে। তাই তৃণমূলের অসুরদের আগামী দিনে বধ আসন্ন।